নিউজ ডেস্ক: গত বছরের নভেম্বর মাসে গাজা উপত্যকায় ইহুদীবাদী ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা পরিচালিত একটি গোপন অভিযান সম্পর্কে নতুন তথ্য ফাঁস হয়েছে। যার ফলে ইহুদীবাদী সন্ত্রাসী ইসরাইলি বাহিনীর সাথে হামাসের ব্যাপক যুদ্ধের সূত্রপাত ঘটেছিল।
আল জাজিরা অ্যারাবিকের ‘মা খাফিয়া আযম’ নামের একটি প্রোগ্রামে বলা হয়, আট ইসরাইলি গুপ্তচর ফিলিস্তিনিদের ছদ্মবেশ ধারণ করেছিলো এবং গাজায় একটি ফিলিস্তিনি পরিবারের উপাধি নিয়ে প্রবেশ করেছিল। হামাসের ব্যক্তিগত গোপন তথ্য জানার জন্য ইসরাইলি গুপ্তচরেরা গাজায় বিভিন্ন গোপন যন্ত্র স্থাপন করেছিল।
পরে, গাজার খান ইউনিস নামক স্থানে হামাসের একটি টহল দল সেই ইসরাইলি এজেন্টদের থামিয়ে প্রায় ৪০ মিনিট জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং তাদের জবাব নিয়ে সন্দেহ হয়। এসময় তাৎক্ষণিক ইসরাইলি এজেন্টরা সাইলেন্সার লাগানো অস্ত্র নিয়ে টহল দলের উপর হামলা চালায়। তারা হামাস নেতা নুর বারাকা ও তার সহযোগী মুহাম্মদ আল-কুরাকে হত্যা করে। এসময় ইসরাইলি গুপ্তচর দলের প্রধান নিহত হয়।
গত রোববার প্রচারিত সেই অনুষ্ঠানে বলা হয়, এটি ১৯৫৭ সালে গঠিত ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা সাইরেত মাতকাল ইউনিটের কাজ। যাদের লক্ষ প্রতিপক্ষের গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ।
হামাসের উপর চালানো হামলা সময় ইসরাইলি গুপ্তচরদের কথোপকথন হয়েছে সেগুলো অনুষ্ঠানে প্রথমবারের মতো প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে ‘উম্ম মুহাম্মদ’ নামের একজনকে হিব্রু ভাষায় প্রশ্ন করতে শোনা যায় যে, অস্ত্র কোথায়। অপর একজনকে তাদের দলের প্রধানকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার কথা শোনা যায়।
ইসরাইলি গুপ্তচরেরা আক্রান্ত হওয়ার পর খান ইউনিস এলাকায় ব্যাপক বিমান হমলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী। তারা হেলিকপ্টারের মাধ্যমে তাদের গুপ্তচরদের সেখান থেকে সরিয়ে নেয়।
ইসরাইলি সামরিক বিশেষজ্ঞ আমির ওরান আল জাজিরাকে বলেন, কোন সন্দেহ নেই যে এই অভিযানটি ব্যর্থ হয়েছে। কেননা আপনি যখন কাউকে (গোপন মিশনে) প্রেরণ করেন তখন আপনি চান না যে অন্য পক্ষটি এটি সম্পর্কে সব কিছু জেনে ফেলুক।
হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসসাম ব্রিগেডের ইঞ্জিনিয়াররা ইসরাইলি গোয়েন্দাদের কার্যক্রম সম্পর্কে আঁচ করতে পেরেছিল, তাদের রেকর্ডিং নিয়ন্ত্রণ করতে পারত, তাদের সবাইকে আলাদা করে চিনতে পেরিছিল। এছাড়া তাদের প্রশিক্ষণের স্থান ও তাদের নির্দিষ্ট নিয়ম সম্পর্কেও ধারণা পেয়েছিল বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়।
কাসসাম ব্রিগ্রেড এক্সক্লুসিভ ফুটেজ প্রকাশ করে দেখায়, গুপ্তচরেরা কিভাবে তাদের নিরাপত্তা ও যোগাযোগ কার্যক্রম চালিয়ে যেত। ইঞ্জিনিয়াররা মধ্য গাজার জুওয়াইদা এলাকার মাটির নিচে ইসরাইলি গুপ্তচরদের একটি গোপন যন্ত্রের খোঁজ পায়। কাসসাম ব্রিগেডের সদস্যরা গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের যন্ত্রটি ধ্বংস করে দিয়েছিল, তবে এটি একটি বিস্ফোরক যন্ত্রের সাথে লাগানো হওয়ায় বেশ কয়েকজন মারা গিয়েছিলো।
হামাসের তদন্তে দেখা গেছে, ইসরাইলি গুপ্তচরেরা যেসব গোয়েন্দা সরঞ্জাম ও ড্রিলিং মেশিন ব্যবহার করেছিল সেগুলো হামাদিকা নামে একটি আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থার সহায়তায় গাজায় প্রবেশ করেছিল। কাসসাম ব্রিগেডের গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তকারী আবু ইয়াহিয়া বলেছিলেন, জোয়াও সান্টোস নামে এক পর্তুগিজ পাসপোর্টধারী এই মানবাধিকার কর্মী হিসাবে চেকপোস্ট পেরিয়ে এসব সরঞ্জাম নিয়ে এসেছিল। এসব তথ্য হামাসের কাছে চলে আসায় এই ইসরাইলি অভিযানটি চূড়ান্তুভাবে ব্যর্থ বলে গণ্য করা হয়।
KathiFDial in: এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থী বেড়েছে পৌনে ২ লাখ
Bit of writing writing is yet another excitement, when you know about ...
quest bars in: এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থী বেড়েছে পৌনে ২ লাখ
I do not even understand how I stopped up here, but I assumed this pos ...
quest bars in: এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থী বেড়েছে পৌনে ২ লাখ
Heya i am for the primary time here. I came across this board and I ...
quest bars in: এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থী বেড়েছে পৌনে ২ লাখ
Excellent blog here! Also your site loads up fast! What web host are y ...