রাঙ্গামাটি সংবাদদাতা: ‘মেঘের রাজ্য’ নামে দেশ-বিদেশে পরিচিত রাঙ্গামাটির সাজেক ভ্যালি। রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় অবস্থিত সাজেক। দুর্গম এই পর্যটন স্পটে যেতে হয় আঁকাবাঁকা ও সরু রাস্তা দিয়ে। এতে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। গত এক সপ্তাহে চারটি সড়ক দুর্ঘটনার খবর পাওয়া গেছে।
গত তিন দিনের ছুটিতে বেশ সরগরম ছিল এ জনপদটি। এরমধ্যে ২০-২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত চারটি সড়ক দুর্ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। এসব দুর্ঘটনায় পর্যটক, চালকসহ অন্তত ১৫-২০ জন আহত হন। মারা গেছেন এক তরুণ।
গত ২০ ডিসেম্বর একটি জিপ প্রায় তিনশত ফুট নিচে খাদে পড়ে যায়। এরপর ২১ ডিসেম্বর দুর্ঘটনার শিকার হয় একটি লেগুনা। ২৩ ডিসেম্বর সাজেক যাওয়ার পথে মোটরসাইকেল-জিপ সংর্ঘষে মোটরসাইকেল চালক মারা যান। সবশেষ সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে একটি জিপ। এতে চারজন পর্যটক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
সাজেকে সড়ক দুর্ঘটনা নতুন নয়। পাহাড়ি আঁকাবাকা সরু সড়ক, ফিটনেসবিহীন গাড়ি, অদক্ষ চালকের কারণে প্রায়ই সড়কে দুর্ঘটনা ঘটছে।
স্থানীয় বাসিন্দা থুনয়ং মারমা বলেন, ‘সাজেকের রাস্তাগুলো সরু। এ সরু রাস্তাতেই বেপরোয়া গাড়ি চালান চালকরা। এতে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।’
জিপ সমিতির লাইনম্যান ইয়াসিন আরাফাতের মতে, মূলত দুটি কারণে এসব দুর্ঘটনা ঘটছে। প্রথমত, রাস্তাটি সরু, দ্বিতীয়ত চালকের জন্য। রাস্তাটি প্রশস্ত করা হলে দুর্ঘটনা ঘটবে না।
সাজেক কটেজ মালিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি চাইথোয়াই অং চৌধুরী জয় বলেন, সাজেকে আসার যে সড়কটি রয়েছে সেটি সরু হওয়ায় প্রায় সময় দুর্ঘটনা হচ্ছে। আমরা আশা করবো প্রশাসন ও সরকার এ বিষয়ে নজর দেবে।
সাজেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতুলাল চাকমা বলেন, সাজেকে পর্যটক আসার হার দিন দিন বাড়ছে। তবে আমরা প্রায়ই সড়ক দুর্ঘটনার খবর পাচ্ছি। সড়কটি প্রশস্ত করা জরুরি।
রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, সাজেক বাঘাইছড়ি উপজেলা থেকে অনেক দূরে। সেখানে প্রতিনিয়ত প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করা কঠিন। তবে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি।