নিজস্ব প্রতিবেদক: পবিত্র রমজানে ইফতারের শরবতে ইসবগুল, তোকমা ও তালমাখনার মতো উপকারী উপাদানগুলো রাখেন অনেকেই। এ বছর দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ছুঁয়ে গেছে এসব পণ্যেও। বেড়েছে দাম। ফলে এ বছর রোজাদারদের ইফতারের শরবতে প্রশান্তি পেতে গুনতে হবে বাড়তি টাকা।
শুক্রবার (২৪ মার্চ) রমজানের প্রথম দিনে রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
বিক্রেতারা জানিয়েছেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর এ ধরনের পণ্যে দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৫০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত।
রাজধানীর রামপুরা বাজারে প্রতি ১০০ গ্রাম ইসবগুলের ভুসির প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। এ বিষয়ে বিক্রেতা খালেক মিয়া বলেন, গত বছর একই পরিমাণের এক প্যাকেটের দাম ছিল ৮০ টাকা। এবার ভুসির দাম কেজিপ্রতি ৪০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে বলে জানান খালেক।
একইভাবে প্রতি ১০০ গ্রাম ইসবগুলের দানার প্যাকেট ৫০ টাকায় বিক্রি করছেন খালেক মিয়া। তিনি জানান, দানার কেজি এখন ৫০০ টাকা, আগে ৩৫০ টাকা ছিল।
আরও কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি ১০০ গ্রাম তোকমা দানা বাজারভেদে ২০ থেকে ৩০ টাকা, তালমাখনা ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, চিয়া সিড ৮০-৯০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও কাতিলা গাম ৪৫ থেকে ৫০ টাকা এবং শাহি দানা ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এই সবগুলো উপকরণের মিশ্রণ একসঙ্গে (মিক্সার) প্রতি ১০০ গ্রাম বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়।
কারওয়ান বাজারের বিক্রেতা মুক্তার হোসেন বলেন, ইসবগুল, চিয়া সিডের দাম সব থেকে বেশি বেড়েছে। এই দুই পদের পণ্যের চাহিদাও বেশি।
তিনি বলেন, আগে ১০০ গ্রাম চিয়া সিড ছিল ৪০ টাকা। এবার দাম দ্বিগুণ। এছাড়া কাতিলা গাম কেজিতে ১০০ টাকা বেড়েছে। শুধু বাড়েনি শাহি দানার দাম।
মুক্তার হোসেন বলেন, পাইকারিতে সবকিছুর দামই অল্পস্বল্প বেড়েছে। তবে খুচরা পর্যায়ে অনেক কিছুর দাম আমরা বাড়াইনি।
ইব্রাহিম নামের আরেক বিক্রেতা বলেন, মিক্সার আগে ২০০ গ্রাম ৬০ টাকা বিক্রি করেও ভালো লাভ হয়েছে। এবার ৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে, তারপরও লাভ কম।
দাম বাড়ার কারণে এসব পণ্যের বিক্রি আগের তুলনায় অনেক কমেছে বলেও দাবি করেন বিক্রেতারা।