বিশেষ প্রতিবেদক: নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসি, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীন দাখিল এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসি ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় এ বছর অংশ নিচ্ছে ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন। গতবারের চেয়ে এবার পরীক্ষার্থী ৫০ হাজার ২৯৫ জন বেশি।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, এবারও সংশোধিত ও পুনর্বিন্যাস করা পাঠ্যসূচিতে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে হবে পরীক্ষা। পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ১০টায়। পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে আধা ঘণ্টা আগে পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে হবে।
অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থীকে নির্ধারিত সময়ের পর কেন্দ্রে প্রবেশের অনুমতি দিলে সেই পরীক্ষার্থীর নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময় ও বিলম্ব হওয়ার কারণ ইত্যাদি তথ্য একটি রেজিস্ট্রারে লিখে রাখতে হবে। পরীক্ষার দিনই সেসব তথ্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে প্রতিবেদন আকারে জমা দিতে হবে।
নিয়মানুযায়ী, ট্রেজারি বা থানা থেকে নির্দিষ্ট তারিখের পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের সব সেট পরীক্ষাকেন্দ্রে পাঠানো হবে। তারপর পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে খুদে বার্তার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে কোন সেটে সেদিনের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে, তা (কোড জানানো হয়) জানিয়ে দেওয়া হবে।
কেন্দ্র সচিব ছাড়া আর কেউ মুঠোফোন কিংবা ইলেকট্রনিক যন্ত্র নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে পারবেন না। কেন্দ্র সচিবও ছবি তোলা যায় না— এমন একটি সাধারণ মুঠোফোন ব্যবহার করতে পারবেন। পরীক্ষাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ছাড়া আর কেউ কেন্দ্রে ঢুকতে পারবেন না।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছে, এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা উপলক্ষে ২৬ এপ্রিল থেকে আগামী ২৩ মে পর্যন্ত সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।
আগামী ২৩ মে এসএসসি এবং এসএসসি ও দাখিল (ভোকেশনাল) লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে। আর দাখিল লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে ২৫ মে।