নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীতে ডেঙ্গু আক্রান্তের ২৭ শতাংশই শিশু। দেশের অন্যান্য এলাকার তুলনায় ঢাকাতে শিশু আক্রান্তের হার বেশি, বলছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। চিকিৎসকরা বলছেন, এবার অনেক শিশুর মধ্যে দেখা দিয়েছে শক সিন্ড্রোম। তাই ডেঙ্গু হলে শিশুদের ব্যাপারে বিশেষ যত্নবান হওয়ার পরামর্শ চিকিৎসকদের।
রাজধানীর শিশু হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ১০০’র বেশি ডেঙ্গু আক্রান্ত ভর্তি থাকছে। এদের বেশিরভাগই মিরপুর, মোহাম্মদপুর ও উত্তরার বাসিন্দা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, রাজধানীতে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৩ হাজারের মতো। এর মধ্যে ২৭ শতাংশই শিশু। দেশের অন্যান্য জায়গার তুলনায় রাজধানীতে শিশু বেশি আক্রান্ত হচ্ছে বলেও জানাচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এবার শিশুদের ক্ষেত্রে ডেঙ্গুর উপসর্গের কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। শিশুদের মধ্যে শক সিন্ড্রোম দেখা দিচ্ছে বলে জানাচ্ছে চিকিৎসকরা।
শিশু হাসপাতাল পরিচালক অধ্যাপক ডা. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, যাদের চলাফেরা কম, তাদেরই মশা বেশি কামড়ায়। আর এডিস মশা দিনে কামড়ায়। এক থেকে পাঁচ বছরের বাচ্চারা বেশি বাসায় থাকে। দেখা যায়, সকাল বেলায় মা ঘুম থেকে উঠে গেলে বাচ্চা ঘুমিয়ে থাকছে। অনেক সময় মশারি খুলে দেওয়া হলে তখন সন্তানকে মশা কামড়াতে পারে। দুপুরে বাচ্চারা ঘুমায়, তখনো অনেকে মশারি ব্যবহার করেন না। এ সময়ও শিশুকে মশা কামড়ায়।
ছোট বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম থাকে। এ জন্য ডেঙ্গু হলে শিশুদের ঝুঁকি বেশি। তা ছাড়া স্থূলতা, কিডনি, শ্বাস—প্রশ্বাসে সমস্যার মতো নানা রোগে আক্রান্ত শিশুরা আরও বেশি ঝুঁকিতে। ফলে এ সময়ে জ্বর দেখা দিলে প্রথম দিনই শিশুদের চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে এবং ডেঙ্গু হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করাতে হবে।
বর্ষা মৌসুমে শিশুদের জ্বর হওয়া স্বাভাবিক, তবে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেশি থাকায় জ্বর হলেই পরীক্ষার পরামর্শ চিকিৎসকদের।