নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের সময় এগিয়ে আসছে। কিন্তু দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতার অভাবে অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে এখন আলোচনায় বিদেশিরা। দেশের নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের চাওয়ার চেয়ে কূটনীতিকদের ভূমিকাকে বড় করে দেখানো হচ্ছে। ভোটের মাত্র চার মাস বাকি থাকলেও দলগুলোর নেতারা ভোটারদের কাছে যাওয়ার চেয়ে ব্যস্ত কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দিনে দিনে উন্নয়ন অংশীদার ও বন্ধু দেশগুলো নিজ নিজ অবস্থান পরিষ্কার করছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো একদিকে আর ভারত, চীন ও রাশিয়া অন্যদিকে থেকে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে।
তবে কূটনীতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এখানে অভ্যন্তরীণ রাজনীতির চেয়ে বড় হয়ে উঠেছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মুখোমুখি অবস্থান। এ ক্ষেত্রে তারা নিজ নিজ স্বার্থকে বড় করে দেখছে। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে কেন্দ্র করে ভূ—রাজনৈতিক যে আকাঙ্খা তৈরি হয়েছে তারই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের নির্বাচনকে ঘিরে ক্ষমতাধর দেশগুলোর তৎপরতায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক এহসানুল হক বলেন, ‘বিগত দুটি নির্বাচনের চেয়ে বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে বিদেশিরা অনেক বেশি তৎপর। বিশ্বরাজনীতিতে পরিবর্তন এর অন্যতম কারণ।’
এহসানুল হক বলেন, ‘গত ১০—১৫ বছরে বিশ্ব রাজনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। ভূ—রাজনৈতিকভাবে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। অর্থনৈতিক অগ্রগতি, নেতৃত্বের দিক থেকেও বাংলাদেশ বিশ্বে একটা বড় ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এজন্য চলতি বছরে নির্বাচন হতে যাওয়া প্রায় ১৪টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের বিষয়েই তারা আগ্রহ দেখিয়ে যাচ্ছে; নিজ নিজ স্বার্থ নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করছে।’