স্বাস্থ্য ডেস্ক: আমরা জীবনকে চালিয়ে নিতে কত কিছুই না খেয়ে থাকি। তবে শুধু গড়পড়তা খেয়ে গেলেই তো আর হবে না! ফিট থাকতে হলে আপনাকে দৈনন্দিন খাবারের প্রতি পূর্ণ মনোযোগী হতে হবে। আমাদের বেঁছে নিতে হবে কোন খাবারটা শরীরের পক্ষে উপযোগী বা কোনটা অস্বাস্থ্যকর!
তবে খাবার আমাদের চালিকা শক্তি হলেও কিছু খাবার অন্য সব ধরনের খাবার থেকে একটু এগিয়ে নিয়ে আমাদেরকে দৈহিক শক্তি প্রদান করে থাকে। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেখানের পাঁচটি খাবার সম্পর্কে-
আপনি যদি শরীরে শক্তির হরমোন তৈরি হওয়ার পরিমাণ বাড়াতে চান তাহলে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট জাতীয় খাবার গ্রহন করুন। তবে সেসব খাবারগুলোকে হতে হবে প্রাকৃতিক এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট। যাতে বেশি পরিমাণ প্রাণিজ-ফ্যাট আছে, ফলে প্রাকৃতিক খাদ্য শারীরিক শক্তির উন্নতি ঘটায়। যেমন, খাঁটি দুধ, দুধের সর, মাখন ইত্যাদি।
দৈহিক দুর্বলতা দূর করতে বিশেষ টনিক হিসেবে কাজ করে থাকে ডিম। প্রতিদিন সকালে অথবা সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন ১টি করে ডিম সিদ্ধ করে খান। এতে নিজেকে অনেকটা চাঙ্গা রাখতে পারবেন। কেটে যাবে আপনার দৈহিক দুর্বলতা।
আজকাল দৈহিক শক্তি বাড়াতে প্রাকৃতিকভাবেই দৈহিক শক্তি বর্ধক খাদ্যই অনেক বেশি কার্যকরী হিসেবে বিবেচিত হয়। আর সেখানে প্রথম সারির নাম হলো মধু। দৈহিক দুর্বলতার সমাধানের মধুর গুণের কথা সবারই কম-বেশি জানা। তাই দৈহিক শক্তি বাড়াতে প্রতি সপ্তাহে অন্তত ৩/৪ দিন এক গ্লাস গরম পানিতে এক চামচ খাঁটি মধু মিশিয়ে পান করুন।
দৈহিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চাইলে প্রতিদিন খাবার তালিকায় রসুন রাখুন। নিয়মিত রসুন খাওয়ার অভ্যাস দৈহিক ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত উপকারী। রসুনে রয়েছে এলিসিন নামের উপাদান যা দৈহিক ইন্দ্রিয়গুলোতে রক্তের প্রবাহ বাড়িয়ে দেয়।
কলার মাঝে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ শর্করা যা আপনার দেহের শক্তি বৃদ্ধি করে। এছাড়া কলায় থাকে ভিটামিন এ, বি, সি ও পটাশিয়াম। ভিটামিন বি ও পটাশিয়াম মানবদেহের রস উৎপাদন বাড়ায়। আর কলায় রয়েছে ব্রোমেলিয়ানও। যা শরীরের টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়াতেও সহায়ক।
স্বাস্থ্য ডেস্ক: অনেকে ক্ষুধা একদমই সহ্য করতে পারেনা। হাতের কাছে যা পানা তাই সাবাড় করে উঠেন। তবে আপনি জানেন কি প্রচ- ক্ষুধায় আপনার গ্রহন করা বেশ কিছু খাবার আপনার শরিরের বেশ ক্ষতি করতে পারে! জেনে নেয়া যাক খাদ্য তালিকায় থাকা যেসব খাবার খিদে লাগলেও খাওয়া উচিত নয়-
দুপুরের খাবার খেতে অনেকেরই কিছুটা দেরি হয়ে যায়। তাই এই সময়ে হাতের কাছে যা পান, তা দিয়েই এই পর্ব সেরে ফেলেন অনেকেই। আর এক্ষেত্রে অনেকেই বেছে নেন ঝাল খাবার। কিন্তু এই অভ্যাস ডেকে আনতে পারে বিপত্তি। এটি আপনার হজমের সমস্যা তৈরি করতে পারে। এছাড়া খালি পেটে ঝাল খাবার খেলে তা আপনার পাকস্থলীর ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। তাই ঝাল খাবার গ্রহণের আগে দুধ কিংবা দই খেতে পারেন। এতে পাকস্থলীর ওপর ঝালের প্রভাব কমে যাবে।
খালি পেটে ফল খেতে নেই কথাটি আমরা সবাই কমবেশি শুনেছি। একটি আপেল বা কলা খেয়ে বেশিক্ষণ থাকা সম্ভব নয়। ফলে আপনার ক্ষুধার অনুভূতি দ্রুত ফিরে আসবে। তাই এর সঙ্গে যোগ করে খেতে পারেন প্রোটিনযুক্ত কোনো খাবার। ফলের সঙ্গে খেতে পারেন সামান্য পরিমাণ বাদাম, পিনাট বাটার বা পনির।
কমলালেবু, কফি বা সস খালি পেটে খেলে অ্যাসিডিটি তৈরি করে। এতে পেট খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। বিশেষ করে যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য খালি পেটে কফি পান করা অত্যন্ত ক্ষতিকর।
স্বাস্থ্য ডেস্ক: পুরো দুনিয়াতেই মাছ পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কম। তবে মাছের তেল স্বাস্থ্যের জন্য কতটুকু ভালো তা নিয়ে দ্বিধায় থাকেন অনেকে। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছে, মাছের মতোই তেলেও রয়েছে সমান পুষ্টি।
সব ধরনের সামুদ্রিক মাছ প্রচুর তেল রয়েছে। বিভিন্ন সামুদ্রিক ছাড়াও অন্যান্য বড় মাছেও তেল রয়েছে। মাছের তেল আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। মাছের তেলে ক্ষতিকর কোনো উপাদান নেই। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাডিস, যা রক্তজমাট বাঁধতে দেয় না ও রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে। তাই হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় মাছের তেল। নিয়মিত এটি খেলে হার্টঅ্যাটাকের ঝুঁকি কমে। আসুন জেনে নেই মাছের তেলের উপকারিতা-
১. মাছের তেল রক্তে থাকা খারাপ কোলেস্টেরল কমায় ও শরীরের জন্য উপকারী কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়।
২. হাড় শক্তিশালী করে। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড মস্তিষ্ক ভালো রাখতে সাহায্য করে।
৩. টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায় মাছের তেল।
৪. রিউমাটোয়িড আর্থ্রাইটিসের লক্ষণ কমাতে সাহায্য করে।
৫. ত্বক ও চুল ভালো রাখে।
৬. মাছের তেল দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে ও লিভারে জমে থাকা চর্বি দূর করে।
৭. ডিপ্রেশন বা অ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডারও কম হয়।
স্বাস্থ্য ডেস্ক: ডালিম একটি সুন্নতী ফল। যা পৃথিবীর অন্যতম স্বাস্থ্যকর খাবার। এটি শরীরের জন্য দারুণ উপকারী। ডালিমে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ভাইরাল এবং অ্যান্টি-টিউমার উপাদান, ভিটামিন এ, সি, ই এবং ফলিক অ্যাসিড রয়েছে।
এতে গ্রিন-টির চেয়ে তিনগুণ বেশি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে। নিয়মিত ডালিম খেলে বিভিন্ন ধরনের রোগের ঝুঁকি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় ডালিম শরীরকে ফ্রি রেডিকেল থেকে মুক্ত রাখে যা অকাল বাড়িয়ে যাওয়ার জন্য দায়ী। ডালিমের বীজ শরীরের ভেতরে রক্ত জমাট বাঁধা রোধ করে। ফলে হৃদরোগ, স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে। ডালিমে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। ডালিম রক্তে অক্সিজেনের সরবরাহ উন্নত করে।
গবেষণায় দেখা গেছে, ডালিমের জুস প্রস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করে। এটি ক্যান্সারের সেল ধ্বংস করতে ভূমিকা রাখে। ডালিম স্মৃতিশক্তি বাড়ায় এবং চোখের দৃষ্টিও উন্নত করে। ডালিমে থাকা পিউনিসিক অ্যাসিড কোলেস্টেরল যেমন কমায় তেমনি উচ্চ রক্তচাপ কমাতেও সাহায্য করে। ফাইবার হজমের দারুণ সহায়ক। কিন্তু আমাদের জীবন-যাপন পদ্ধতিতে জাঙ্ক ফুড যুক্ত হওয়ার কারণে অনেক সময় ফাইবার থেকে শরীর বঞ্চিত হয়।
নিয়মিত ডালিম খেলে এই সংকট অনেকটাই কেটে যাবে। কারণ একটা ডালিমে দিনের চাহিদার শতকরা ৪৫ ভাগ ফাইবার থাকে। বাতজনিত সমস্যা কমাতে কার্যকরী ডালিম।অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান, ভিটামিন থাকায় ডালিম শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে শরীরের যে কোনো ধরনের সংক্রমণ কমায়।
নিউজ ডেস্ক: আমরা সবাই খাই ফলের রস। কিন্তু আলুর রস কী খাবো? এই আলুর রসে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ। আলুর রসে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকায় এটি স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। নিয়মিত আলুর রস খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
আলুর রস হজম শক্তি বাড়ায়, অ্যাসিডিটি কমায় ও পাকস্থলির সমস্যা দূর করে। লাল আলুর রস আলসার কমাতে সাহায্য় করে। আলুর রসে ভিটামিন-সি থাকায় এটি সর্দি-কাশি কমাতে সাহায্য় করে।
কাঁচা আলুর রসে প্রাকৃতিক সুগার ও কার্বোহাইড্রেট থাকায়, এটি শারীরিক শক্তি বাড়াতে সাহায্য় করে।
ওজন কমাতে ও ক্ষত স্থান থেকে রক্তপাত কমাতে আলুর রস ভাল কাজ দেয়। লিভার পরিষ্কার রাখতে খুব ভাল কাজ দেয় আলুর রস। আলুর রস হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
স্বাস্থ্য ডেস্ক: শরীরকে রোগ মুক্ত রাখতে ত্রিফলার বাস্তবিকই কোনো বিকল্প নেই। চিকিৎসা শাস্ত্রে এর এত কদর। তিনটি ফলকে শুকিয়ে নিয়ে তারপর তা গুঁড়ো করে একসঙ্গে মিলিয়ে যে শক্তিশালী মিশ্রনটি তৈরি করা হয়, তাকেই আযুর্বেদ শাস্ত্রে ত্রিফলা নামে ডাকা হয়ে থাকে।
সাধারণত আমলকি, হরিতকি এবং বহেরা একসঙ্গে বানানো হয় এই ঔষধিটি, যাতে একাধিক ভিটামিন এবং মিনারেল ছোট-বড় নানা রোগকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে এতে উপস্থিত গ্যালিক অ্যাসিড, ইলেগিক অ্যাসিড এবং চেবুলিনিক অ্যাসিড ত্বক এবং চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও কাজে আসে।
অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটারি এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদানে টাসা হওয়ার কারণে এই মিশ্রনটি খাওয়া শুরু করলে শরীরের এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে ক্ষত সারতে সময় লাগে না। এই কারণেই তো ছোট বাচ্চাদের নিয়মিত এই আয়ুর্বেদিক মিশ্রনটি খাওয়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।
রক্তচাপ কি ওঠানামা করে? তাহলে নিয়মিত ত্রফলা খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে চলে আসতে সময় লাগবে না। এই মিশ্রনটিতে লাইনোলিক অ্যাসিড, শরীরে প্রবেশ করা মাত্র এমন খেল দেখায় যে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আশঙ্কা কমে। নিয়মিত ত্রিফলা খাওয়া শুরু করলে দেহের পুষ্টিকর উপাদানের মাত্রা এতটা বেড়ে যায় যে তার প্রভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না। ফলে ছোট-বড় রোগব্যাধির প্রকোপ কমে চোখের নিমেষে।
সকালটা যদি আপনার কাছে অভিশাপের সমান হয়, তাহলে আজ থেকেই ত্রিফলা চুর্ন খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার মিলবে। যে বাওয়েল মুভমেন্টের উন্নতি ঘটানোর মধ্যে দিয়ে কনস্টিপেশনের মতো রোগের চিকিৎসায় এই হার্বাল মিশ্রনটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। কোলোনকে পরিশুদ্ধ করার মধ্যে দিয়ে আরও নানা ধরনের রোগের আশঙ্কা কমাতেও ত্রিফলার কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে।
অতিরিক্ত ওজনরে কারণে যদি চিন্তায় থাকেন, তাহলে ডায়েট কন্ট্রোলের পাশাপাশি আপনার প্রথম পছন্দ হওয়া উচিত ত্রফলা চুর্ণ। কারণ নিয়মিত এই প্রাকৃতিক উপাদানটি গ্রহণ করলে বাওয়েল মুভমেন্টের উন্নতি ঘটে। সেই সঙ্গে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটার কারণে শরীরে মেদ জমার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ওজন কমতে শুরু করে।
এক গ্লাস গরম পানিতে ১-২ চামচ ত্রিফলা গুঁড়ো মিশিয়ে সারা রাত রেখে দিন। পরদিন সকালে উঠে পানিটা ছেঁকে নিয়ে ভালো করে চোখ পরিষ্কার করুন। এইভাবে নিয়মিত চোখের পরিচর্যা করতে পারলে দেখবেন দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটতে সময় লাগবে না। সেই সঙ্গে চোখের সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও যাবে কমে।
নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের ১৬টি নার্সিং ইনস্টিটিউটকে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজে উন্নীতকরণের প্রশাসনিক অনুমোদন দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ।
বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ নার্সিং শিক্ষা শাখার উপ-সচিব ইসরাত জাহান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা গেছে।
নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজে উন্নীতকরণের অনুমোদন পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- ফরিদপুর, খুলনা, বগুড়া, দিনাজপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালী, যশোর, টাঙ্গাইল, কক্সবাজার, সাতক্ষীরা, ফেনী, ভোলা, গোপালগঞ্জ, নীলফামারী, জামালপুর ও হবিগঞ্জ নার্সিং ইনস্টিটিউট।
স্বাস্থ্য ডেস্ক: কাঁচা ছোলার গুণ সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। প্রতি ১০০ গ্রাম খাদ্যপোযোগী ছোলায় আমিষ প্রায় ১৮ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট প্রায় ৬৫ গ্রাম, ফ্যাট মাত্র ৫ গ্রাম, ২০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ’ প্রায় ১৯২ মাইক্রোগ্রাম এবং প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি-১ ও বি-২ আছে। এছাড়াও ছোলায় বিভিন্ন প্রকার ভিটামিন, খনিজ লবণ, ম্যাগনেশিয়াম ও ফসফরাস রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে আরও অনেক উপকার।
উচ্চমাত্রার প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার ছোলা। কাঁচা, সেদ্ধ বা তরকারি রান্না করেও খাওয়া যায়। কাঁচা ছোলা ভিজিয়ে, খোসা ছাড়িয়ে, কাঁচা আদার সঙ্গে খেলে শরীরে একই সঙ্গে আমিষ ও অ্যান্টিবায়োটিক যাবে। আমিষ মানুষকে শক্তিশালী ও স্বাস্থ্যবান বানায় ছোলার কিছু চমকপ্রদ গুণাগুণ হল-
ছোলা পুষ্টিকর একটি ডাল। এটি মলিবেডনাম এবং ম্যাঙ্গানিজ এর চমৎকার উৎস। ছোলাতে প্রচুর পরিমাণে ফলেট এবং খাদ্য আঁশ আছে সেই সাথে আছে আমিষ, ট্রিপট্যোফান, কপার, ফসফরাস এবং আয়রণ। এক গবেষণায় দেখা গেছে যে যারা প্রতিদিন ১/২ কাপ ছোলা, শিম এবং মটর খায় তাদের পায়ের আর্টারিতে রক্ত চলাচল বেড়ে যায়। তাছাড়া ছোলায় অবস্থিত আইসোফ্লাভন ইস্কেমিক স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তিদের আর্টারির কার্যক্ষমতাকে বাড়িয়ে দেয়
ছোলা শরীরের অপ্রয়োজনীয় কোলেস্টেরল কমিয়ে দেয়। ছোলার ফ্যাট বা তেলের বেশির ভাগ পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয়। প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট ছাড়া ছোলায় আরও আছে বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ লবণ।
১০০ গ্রাম ছোলায় আছে: প্রায় ১৭ গ্রাম আমিষ বা প্রোটিন, ৬৪ গ্রাম শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট এবং ৫ গ্রাম ফ্যাট বা তেল। ছোলার শর্করা বা কার্বোহাইডেটের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। তাই ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য ছোলার শর্করা ভাল। প্রতি ১০০ গ্রাম ছোলায় ক্যালসিয়াম আছে প্রায় ২০০ মিলিগ্রাম, লৌহ ১০ মিলিগ্রাম, ও ভিটামিন এ ১৯০ মাইক্রোগ্রাম। এছাড়া আছে ভিটামিন বি-১, বি-২, ফসফরাস ও ম্যাগনেসিয়াম। এর সবই শরীরের উপকারে আসে। ছোলার ফ্যাটের বেশিরভাগই পলি আনস্যাচুয়েটেড। এই ফ্যাট শরীরের জন্য মোটেই ক্ষতিকর নয়, বরং রক্তের চর্বি কমায়।
স্বাস্থ্য ডেস্ক: মাটিতে বসে খাবার খাওয়া সম্মানিত সুন্নত উনার অন্তর্ভূক্ত। আর ডাক্তাররাও বলছে, মাটিতে বসে খাওয়াই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। চলুন জেনে নেই সম্মানিত এই সুন্নত মুবারকের বহুমুখী উপকারিতা-
১. মাটিতে বসে খেলে একাগ্রতা বাড়ে। এমনকি পায়ের শক্তি বৃদ্ধি হয়।
২. মাটিতে বসলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। ফলে শরীরে অতিরিক্ত এনার্জি পাওয়া যায়।
৩. এ আসনে বসলে মানসিক চাপ কমে, মনে ইতিবাচক চিন্তাভাবনার প্রভাব বৃদ্ধি পায়।
৪. মাটিতে বসে খাবার খেলে মেদ, বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাসের মতো পেট সংক্রান্ত সমস্যা এড়ানো যায়।
৫. মাটিতে বসে খাবার খেলে আলস্য দূর হয়। গোশতপেশিতে খিঁচ ধরা কমে।
৬. এতে মেরুদন্ডের নিচের অংশে জোর পড়ে। ফলে শরীরে আরাম অনুভূত হয়।
স্বাস্থ্য ডেস্ক: সুস্থ থাকতে ও ওজন কমাতে সুন্নতী খাবার ছাতু খেতে পারেন নিয়মিত। পুষ্টিগুণের দিক থেকে একে বলা হয় সুপার ফুড। বিভিন্ন পুষ্টিতে ঠাসা ছাতু খেতে পারেন বিভিন্নভাবে।
প্রোটিনের পরিমাণ যেমন বেশি, তেমনি ছাতুতে কার্বোহাইড্রেটও পাওয়া যায়। থাকে বিভিন্ন মিনারেলও। ১০০ গ্রাম ছাতুতে কার্বোহাইড্রেট থাকে প্রায় ৬০-৬৫ গ্রাম। ফলে শক্তির জোগান দেয় এটি।
ছাতুর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম, তাই ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য খুব ভালো খাবার হতে পারে ছাতু। এক দিকে শক্তির জোগান দেয়, আবার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম হওয়ায় রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণও থাকে নিয়ন্ত্রণে।
ছাতু খেলে পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, জিঙ্ক ইত্যাদি খনিজের চাহিদাও পূরণ হয়ে যায়। তাই মাইক্রো-নিউট্রিয়েন্টসের জন্যও ভরসা রাখা যায় ছাতুর উপরে। রক্ত সঞ্চালন ভালো রাখতে এর জুড়ি নেই।
পেশির গঠনে, ত্বকে ঔজ্জ্বল্য আনতে, চুল পড়া কমাতেও ছাতু সহায়ক। ছাতুতে যে আয়রন থাকে, তা নারীদের জন্য খুব জরুরি।
এতে ফাইবার থাকে। কোষ্ঠ পরিষ্কার রাখতে এর জুড়ি নেই। পূর্ণবয়স্ক সুস্থ মানুষ রোজ ৩০-৪০ গ্রাম ছাতু খেতে পারেন। তবে কতটা পরিমাণে ছাতু খাবেন তা নির্ভর করে একজনের বয়স, কাজ ও খাদ্যতালিকার উপরে। একটু বেশি বয়সে ছাতু খেলে অনেকের পেট ভার করতে পারে। তাই রোজ ১ চামচ করে ছাতু খাওয়া শুরু করে দেখতে পারেন। হজম করতে পারলে ধীরে-ধীরে পরিমাণ বাড়ান। দিনে ছাতু খাওয়াই ভালো, রাতে খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে।