নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০১৩-২০১৪ সালে বেসরকারি থেকে সরকারি হওয়া (জাতীয়করণকৃত) সারাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৮ হাজার ৭২০ জন শিক্ষকের টাইম স্কেল সুবিধা ফেরত দেয়ার বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা পরিপত্র নিয়ে হাইকোর্টের রুল খারিজ করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন।
এর আগে ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩-২০১৪ সালে জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক শিক্ষকদের টাইম স্কেলের সুবিধা ফেরত দেয়ার বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা পরিপত্র নিয়ে দায়ের করা রিটের শুনানিতে জারি করা রুল শুনানি শেষ হয়। পরে এ বিষয়ে রায় ঘোষণার জন্য আজ রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোকছেদুল ইসলাম। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরশেদ ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি সারাদেশের ৪৮ হাজার ৭২০ জন শিক্ষকের টাইম স্কেল সংক্রান্ত অর্থ মন্ত্রণালয়ের চিঠির বিষয়ে দায়ের করা রিট মামলা তিন সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তি করার জন্য হাইকোর্টকে নির্দেশ দিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। তারই ধারাবাহিকতায় এই রুলের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে জাতীয়করণকৃত ৪৮ হাজার ৭২০ জন শিক্ষককে টাইম স্কেলের এ সুবিধা দেয়া হয়েছিল।
এ বিষয়ে ব্যারিস্টার মোকছেদুল ইসলাম বলেন, গত বছরের ১২ আগস্ট বেসরকারি থেকে সরকারি হওয়া প্রাথমিক শিক্ষকদের টাইম স্কেল সুবিধা ফেরত দেয়ার বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় একটি পরিপত্র জারি করে। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সংক্ষুব্ধ শিক্ষকরা রিট করেন। তখন হাইকোর্ট বিভাগ পরিপত্র স্থগিত করে রুল জারি করেন।
এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে। ১৩ সেপ্টেম্বর চেম্বার জজ আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন। পরে স্থগিতাদেশ তুলে দিতে শিক্ষকরা আপিল বিভাগে আবেদন করেন। এরপর গত ১৩ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ তিন সপ্তাহের মধ্যে হাইকোর্ট বিভাগে রিট মামলাটি নিষ্পত্তি করতে বলেন।
সে অনুসারে গত বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) উক্ত বেঞ্চে এ রুলের ওপর শুনানি শেষ হয়। হাইকোর্ট এ বিষয়ে রায়ের জন্য রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দিন ধার্য করেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক: কানাডার বেগম পাড়াসহ বিদেশের বিভিন্ন রাষ্ট্রে অর্থপাচারকারীদের তথ্য জানাতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও রাষ্ট্রপক্ষ নাম পরিচয় দাখিল করার বিষয়ে হাই কোর্টের শুনানি আজ রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ধার্য রয়েছে। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দীন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চে এ শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘আজ আমরা এফিডেভিট আকারে একটা প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করব। যে মামলাটি আজ হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে শুনানির জন্যে (কজলিস্ট) কার্যতালিকার শীর্ষে রয়েছে।’
এর আগে কানাডার বেগম পাড়াসহ বিদেশের বিভিন্ন রাষ্ট্রে অর্থপাচারকারীদের নাম ঠিকানা পরিচয়ের বিষয়ে পরবর্তী তথ্য জানাতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও রাষ্ট্রপক্ষকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
অর্থপাচার বিষয়ে দুদকসহ কয়েকটি রাষ্ট্রীয় সংস্থার প্রতিবেদন দাখিলের পর গত ১৭ ডিসেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে ওইদিন রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। অন্যদিকে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। আরও শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
বিদেশে অর্থপাচারকারীদের বিষয়ে উচ্চ আদালতের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন ধরনের তথ্য-উপাত্ত প্রতিবেদন আকারে হাই কোর্টে জমা দেয় দুদক ও রাষ্ট্রের অন্যান্য পক্ষ। এ সময় প্রতিবেদনে পুরোনো তথ্য থাকায় দুদকের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন আদালত।
প্রতিবেদন দেখার পর আদালত বলেন, ‘এখানে ২২ অক্টোবর হাইকোর্টের দেয়া আদেশের পরের কোনো আপডেট তথ্য নেই। আমরা অর্থপাচারকারীদের নাম জানতে চাই। আপনারা নতুন নাম বলুন। সম্রাট তো কারাগারেই আছেন, আর নতুন করে অন্যান্য কারা জড়িত তাদের নাম বলুন। হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হলেও দুদক মাত্র ৪১ কোটি টাকা আদায় করতে পেরেছে। দেশের ১৮ কোটি মানুষ, তাদের মধ্যে গুটিকয়েক মানুষ অর্থপাচার করে। তাদের সবার জানার অধিকার আছে। আমরা অর্থপাচারকারীদের নাম-ঠিকানা জানতে চাই।’
এর আগে সম্রাটসহ অর্থপাচারকারীদের ১০০ জনের নামসহ প্রতিবেদন জমা দেয়া হয় হাই কোর্টে। এরপর এ বিষয়ে শুনানি হয়। শুনানিতে এমন মন্তব্য করেন আদালত।
বিদেশে অর্থ পাচারের বিষয়ে পাঁচটি সংস্থা হাই কোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করে। কানাডায় অর্থপাচারের বিষয়ে সে দেশের কাছে তথ্য চাওয়া হয়েছে বলে হাইকোর্টকে জানিয়েছে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইএইউ)।
এদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সব মিশন অর্থপাচারের রিপোর্ট দিলে সঙ্গে সঙ্গে তা আদালতে দাখিল করা হবে। অন্যদিকে এখন পর্যন্ত দুদকের মামলার হিসাবে ২৫০০ কোটি টাকা অর্থপাচার হয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে দুদক।
সিআইডি জানিয়েছে, ক্যাসিনো ব্যবসায়ী ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটসহ সাতজন হ্যাকারদের মাধ্যমে সিঙ্গাপুর, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড এবং শ্রীলঙ্কায় অর্থ পাচার করেছেন। শুধু সম্রাট এবং এনামুল হক আরমানই ২৩২ কোটি ৩৭ লাখ ৫৩ হাজার ৬৯১ টাকা সিঙ্গাপুরে পাচার করেছে।
এর আগে গত ২২ নভেম্বর হাই কোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এক আদেশে বিদেশে অর্থপাচারকারীদের সব ধরনের তথ্য চান। বিদেশে অর্থপাচারকারীদের নিয়ে ১৯ এবং ২১ নভেম্বর বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে ওই আদেশ দেন হাইকোর্ট।
এরপর হাইকোর্টের আদেশের জবাব তৈরি করতে অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে দুবার বৈঠক করেন সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধিরা। সবশেষ গত ১৪ ডিসেম্বর অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে এ বিষয়ে বৈঠক হয়। বৈঠকে দুদক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট ও এনবিআরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের পর অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেছিলেন, ‘আমরা সবাই একসঙ্গে বসে ঠিক করলাম। সবার বক্তব্য আমাদের দিলে, আমরা এটা এফিডেভিট করে আদালতে জমা দেব, অন্যকিছু না। তথ্য যা আছে সেটাই দেয়া হবে। সবাই আদালতের আদেশ মোতাবেক জবাব দেয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
এ বিষয়ে আদালত অন্তর্বর্তীকালীন আদেশসহ রুল জারি করেন। রুলে অর্থপাচারকারী সরকারি কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট অর্থপাচারকারীদের বিরুদ্ধে আইন অনুসারে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
নিজস্ব প্রতিবেদক: দেওয়ানি মামলার বিচারের এখতিয়ারসম্পন্ন হাইকোর্টের একক বেঞ্চের আর্থিক এখতিয়ার বাড়িয়ে রুলস সংশোধন করে গেজেট প্রকাশ করেছেন সুপ্রিম কোর্ট। ফলে এখন থেকে হাইকোর্ট বিভাগের দেওয়ানি এখতিয়ারসম্পন্ন একক বেঞ্চ ছয় কোটি টাকা আর্থিক মূল্যমানের মামলার শুনানি করতে পারবেন; যা আগে ছিল ছয় লাখ।
সংবিধানের ১০৭(১) অনুচ্ছেদ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতির অনুমোদনক্রমে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের এই রুলস সংশোধন করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্ট সূত্রে জানা যায়, দেওয়ানি মামলা বিচারের ক্ষেত্রে অধস্তন আদালতের বিচারকদের আর্থিক বিচারিক এখতিয়ার বহুগুণ বাড়িয়ে সম্প্রতি আইন সংশোধন করা হয়েছে।
সংশোধনের মাধ্যমে পাঁচ কোটি টাকা পর্যন্ত আর্থিক মূল্যমানের মামলার আপিল ও রিভিশন এখতিয়ার দেয়া হয়েছে জেলা ও দায়রা জজ আদালতকে। ওই সংশোধনের আগে কোনো সম্পত্তির আর্থিক মূল্যমান পাঁচ লাখ টাকার ওপরে হলেই বিচারপ্রার্থীকে হাইকোর্টে বিচার চেয়ে আবেদন করতে হতো। আইন সংশোধনের পর এখন কোনো সম্পদের আর্থিক মূল্য পাঁচ কোটি টাকার বেশি হলে বিচার চাইতে হবে হাইকোর্টে। আর এ কারণেই হাইকোর্টে দেওয়ানি বিষয়াদি বিচারের ক্ষেত্রে আর্থিক এখতিয়ার সমন্বয় করতে হাইকোর্ট রুলস সংশোধন করা হয়েছে।
হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের নেতৃত্বে চার সদস্যের এই রুলস সংশোধন কমিটিতে আরও ছিলেন বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া, বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামান।
এর আগে ২৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে ১৮৮৭ সালের দেওয়ানি আদালত আইন সংশোধন বিল পাস করে অধস্তন আদালতে দেওয়ানি মামলা বিচারের ক্ষেত্রে বিচারকদের আর্থিক এখতিয়ার বাড়ানো হয়।
সরকারের পক্ষ থেকে আইন সংশোধন করে অধস্তন আদালতের বিচারিক এখতিয়ার বৃদ্ধি করায় হাইকোর্ট রুলস সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। কারণ হাইকোর্ট রুলসের চ্যাপটার ২-এর রুল-১ (অ্যাক্ট) (এ)-তে বলা আছে, হাইকোর্টের একক বেঞ্চের আপিল ও রিভিশন শুনানির এখতিয়ার ছয় লাখ টাকা। অন্যদিকে দেওয়ানি আইন সংশোধন করে জেলা জজকেই পাঁচ কোটি টাকা মূল্যমানের মামলার আপিল ও রিভিশন শুনানির এখতিয়ার দেয়া হয়েছে।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলাসহ সব ক্ষেত্রে সিরিয়ার প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন।
সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল মিকদাদের সঙ্গে ফোনালাপে এ ঘোষণা দেন তিনি। সিরিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা ‘সানা’ আজ এ খবর প্রকাশ করেছেন।
ফোনালাপে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সব ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদার এবং শত্রুদের অমানবিক নিষেধাজ্ঞা মোকাবেলার উপায় নিয়ে মতবিনিময় করেন।
সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল মিকদাদ বলেন, পাশ্চাত্যের ইরানবিরোধী অবস্থানের নিন্দা জানায় দামেস্ক এবং এ ক্ষেত্রে সব ধরণের সমর্থন ও সহযোগিতা করতে তারা প্রস্তুত আছেন।
এ সময় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তেহরানের বিষয়ে দামেস্কের অবস্থানের প্রশংসা করেন। জারিফ বলেন, সিরিয়ার সর্বত্র নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করবে ইরান।
তিনি বলেন, সিরিয়ার স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি ইরানের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। এ সময় তারা আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিও পর্যালোচনা করেন।
দুই মুসলিম দেশ সিরিয়া ও ইরানের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।
নিউজ ডেস্ক : সম্ভ্রমহানীর শিকার নারী ও শিশুদের সমাজে পুনর্বাসনের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ক্ষতি পূরণের জন্য একটি বিধিমালা প্রণয়ন করার নির্দেশ কেন দেয়া হবে না রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়ছে।
আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সরকারের সংশ্লিষ্টদেরকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি নিয়ে আজ বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এই আদেশ দেন। ব্যারিস্টার মো. আব্দুল হালিম আদেশের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক: পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড থেকে ৫ লাখ টাকা ও তার বেশি ঋণখেলাপিদের ২৮০ জনকে তলব করেছিলো হাইকোর্ট। সে অনুযায়ী গতকাল আদালতে উপস্থিত হয়েছিলো ৫১ ঋণলেখাপি।
তলবের পরও গতকাল নির্ধারিত দিনে ১৪০ জনের মধ্যে ৫১ জন উপস্থিত হলেও অন্য খেলাপিরা নির্ধারিত দিনে উপস্থিত না হওয়ায় আদালত ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। এ সময় আদালত জানায়, আজ যারা উপস্থিত হননি। তারা হাজির হওয়ার জন্য আর একবার সুযোগ পাবেন, তারা যদি হাজির না হন প্রয়োজনে তাদের গ্রেফতার করে আদালতে আনা হবে।
মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারক মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক বেঞ্চ এমন মন্তব্য করে।
আইনজীবীরা জানান, আদালতের আদেশ অনুযায়ী আজ ১৪০ জন ঋণখেলাপির হাজির হওয়ার কথা ছিল। সেখানে ৫১ জন হাজির হয়েছিলো। বিষয়টি নজরে আসার পর হাইকোর্ট বলেছে, আদালতের তলবে যারা আজকে আসেননি, তাদের আরেকবার সুযোগ দেয়া হবে। এরপরও তারা আদালতে হাজির না হলে প্রয়োজনে গ্রেফতার করে কোর্টে হাজির করা হবে। গত ২১ জানুয়ারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড থেকে পাঁচ লাখ টাকা ও তার বেশি ঋণ নিয়ে খেলাপি হওয়া এমন ২৮০ ব্যক্তিকে তলব করেছিলো হাইকোর্ট।
সশরীরে আদালতে হাজির হওয়ার পাশাপাশি এই ২৮০ জনকে ঋণখেলাপি হওয়ার কারণ দর্শাতেও বলেছিলো আদালত। ঋণ গ্রহণ ও খেলাপের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয় এই ২৮০ জনকে। ২১ জানুয়ারি হাইকোর্টের বিচারক মুহম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। আদালতে ওইদিন বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে শুনানি করেন কাজী এরশাদুল আলম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল ওয়াহাব। কোম্পানির পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মেজবাহুর রহমান। এরপর ২৩ ও ২৫ ফেব্রুয়ারি তাদের পর্যায়ক্রমে আদালতে হাজির হয়ে ঋণ ও তা পরিশোধের বিষয়ে ব্যাখ্যা জানাতে বলা হয়। আদালতের আদেশ অনুযায়ী আজ ১৪০ জন ঋণখেলাপির হাজির হওয়ার কথা ছিল।
প্রযুক্তি ডেস্ক: ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা (প্রাইভেসি পলিসি) রক্ষার জন্য যে নতুন নীতি ঘোষণা করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। আগামী ১৫ মে’র মধ্যে তাতে সম্মতি না জানালে তাদের হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট ইনঅ্যাক্টিভ হয়ে যাবে। তার চারমাস পর (১২০ দিন) সেই অ্যাকাউন্ট পুরোপুরি ডিলিট করে দেয়া হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের একটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা রক্ষার নতুন নীতি কার্যকর করতে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ বদ্ধপরিকর। সেই নীতিতে সম্মতি জানানোর জন্য ব্যবহারকারীদের জন্য ১৫ মে পর্যন্ত বেধে দিয়েছে সংস্থাটি। এর মধ্যে যদি কোনো ব্যবহারকারী সম্মতি না জানান, তাহলে তাকে আর নতুন করে সময় দেয়া হবে না।
হোয়াটসঅ্যাপের নতুন প্রাইভেসি পলিসিতে সম্মতি না জানালে ব্যবহারকারীদের কি কি মাশুল গুণতে হবে তা নিজেদের আলাদা একটি পেজে বিস্তারিত জানিয়েছে সংস্থাটি।
বলা হয়েছে, ‘নতুন নীতিতে সম্মতি জানানোর জন্য যে অ্যাকসেপ্ট বাটন রয়েছে তাতে ‘ক্লিক’ না করলে ব্যবহারকারীরা কয়েকদিন হোয়াটসঅ্যাপ কল ও নোটিফিকেশন পাবেন। কিন্তু অ্যাপ থেকে কোনো মেসেজ পড়তে ও পাঠাতে পারবেন না।’
সেক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের সামনে দুটি পথ খোলা থাকছে। যথা-
>> হোয়াটসঅ্যাপের নতুন নীতিতে সম্মতি জানানো।
>> চ্যাট হিস্ট্রি ডাউনলোড করে অন্য মেসেজিং অ্যাপে চলে যাওয়া।
১৫ মে’র মধ্যে নতুন প্রাইভেসি পলিসিতে সম্মতি না জানালে ব্যবহারকারীর হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট অকেজো হয়ে যাবে। তার ১২০ দিন পর সেই অ্যাকাউন্ট আপনা আপনিই মুছে যাবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর গাবতলী বাগমারী উত্তরপাড়া এলাকার আক্তার হোসেন (৫৬) নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার তিনজনকে তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় দারুস সালাম থানায় করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মঈনুল ইসলাম তাদের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
যাদের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে- বাকের খান, আব্দুর রব ও আবুল হাসেম।
শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে ঢাকা মহানগর ও আশপাশের এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের তিনজনকে গ্রেফতার করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগের মিরপুর জোনাল টিম।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি দারুস সালাম থানার ভিকটিম আক্তার হোসেনের ভাড়া বাসার কক্ষে দুর্বৃত্তরা প্রবেশ করে হাত-পা বেঁধে গলা, মুখমণ্ডল ও মাথায় গুরুতর আঘাত করে তাকে হত্যা করে। এরপর কক্ষের দরজা বাইরে থেকে লাগিয়ে সু-কৌশলে পালিয়ে যায়। ওই ঘটনায় দারুস সালাম থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক: শ্রম আইনের ২৩, ২৬, ২৭ (৩ক), ১৭৯ (২,৫), ১৮০ (১খ) ও ২৩২(৩) নম্বর শ্রমিক স্বার্থবিরোধী ধারাগুলো বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
সংগঠনটির সভাপতি আহসান হাবিব বুলবুলের সভাপতিত্বে বক্তারা বলেন, সম্প্রতি শ্রম আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এই সংশোধিত আইনের শ্রমিক স্বার্থবিরোধী ধারাসমূহ বাতিল করার পাশাপাশি হয়রানি ও নির্যাতনমুক্ত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে, আইএলও কনভেনশনের ৮৭ ও ৯৮ ধারা অনুসারে অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার দিতে হবে।
লিখিত বক্তব্যে নেতৃবৃন্দ বলেন, হয়রানি ও নির্যাতনমুক্ত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার আহ্বান নিয়ে গত বছর আইএলও কনভেনশন ১৯০ গৃহীত হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার এখনও এই কনভেনশনে অনুস্বাক্ষর করেনি। যার দ্বারা সরকারের ওপর মালিকদের প্রভাবের মাত্রা নির্ণয় করা যায়। তাই আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ করছি, শুধু বাংলাদেশে নয়, বাংলাদেশের যেসব শ্রমজীবী ভাই-বোনরা প্রবাসে কর্মরত আছেন, তাদের সুরক্ষার জন্যও এই কনভেনশনে অনুস্বাক্ষর করুন। যাতে করে আমাদের শ্রমিকদের অধিকার ও স্বার্থ নিশ্চিত হয়। অন্যথায় সারাদেশে শ্রমিকরা বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তারা।
এ সময় বক্তারা শ্রমিকদের চাকরি অবসানকালীন সুবিধার প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার মূল্যের সঙ্গে মজুরি নির্ধারণের জোর দাবি জানান।
নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি হাসপাতালের নির্ধারিত ডিউটি বাদ দিয়ে অনেকেই ব্যবসা নিয়ে বসে থাকে। আবার অনেকে হাসপাতালে যায় শুধু হাজিরা দিতে বলে মন্তব্য করেছে হাইকোর্ট।
নাসিরনগরে সম্ভ্রমহরণের প্রতিবেদনে অসঙ্গতি নিয়ে চিকিৎসক ও পুলিশের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারক শেখ জাকির হোসেন ও বিচারক কে এম জাহিদ সারওয়ারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানিতে হাইকোর্ট এসব কথা বলে। এর পর সিভিল সার্জন ও এসপিসহ ১২ জনকে সতর্ক করে তাদের ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেয় আদালত।
এর আগে সকালে বি.বাড়িয়ার নাসিরনগরে একটি ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুর আলাদা তিনটি মেডিকেল রিপোর্ট ও একটি ছাড়পত্রে অসামঞ্জস্যতার ব্যাখ্যা দিতে হাইকোর্টে উপস্থিত হন বি.বাড়িয়ার সিভিল সার্জন, পুলিশ সুপারসহ ১২ কর্মকর্তা। হাইকোর্টে তাদের উপস্থিতিতে এ বিষয়ে শুনানি চলছে।
এর আগে গত ১৭ জানুয়ারি বি.বাড়িয়ার নাসিরনগরে শিশু ধর্ষণের ঘটনায় এক আসামির জামিন শুনানিতে ভুক্তভোগী শিশুর তিনটি আলাদা মেডিকেল রিপোর্ট ও একটি ছাড়পত্রে অসামঞ্জস্য ধরা পড়ে। এরপর আদালত বি.বাড়িয়ার সিভিল সার্জন, পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট ১২ জনকে তলব করে আদেশ দেয়।
একইসঙ্গে ওই ঘটনায় দুটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ও পুলিশ মহাপরিদর্শককে নির্দেশ দেয়। এছাড়া রুল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় এ ঘটনায় নাসিরনগর থানায় দায়ের করা মামলা তিন মাসের জন্য স্থগিত করে। আইনের সংস্পর্শে আসা শিশু ও তার পরিবারের সদস্যদের কোনোরকম হয়রানি করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয় আদালত।