লাইফস্টাইল ডেস্ক: মমো খেতে কে না পছন্দ করে! স্বাস্থ্যকর এ খাবারটি যদিও বিদেশি খাবার; তবুও বাঙালির প্রিয় খাবারে পরিণত হয়েছে এটি। তিব্বতী এক জনপ্রিয় খাবার হলো মমো।
বর্তমানে এদেশেও মমোর ব্যাপক জনপ্রিয়তা বেড়েছে। এক টুকরো মমো মুখে পুরলেই যেন মন ভালো হয়ে যায়। চিকেনের পুর ভরা ছোট্ট এক টুকরো পিঠা হলো মমো।
অনেকেই হয়তো ভাবেন, ঘরে মমো তৈরি করা বেশ কঠিন! তবে জানলে অবাক হবেন, সামান্য কিছু উপকরণের সাহায্যে খুবই অল্প সময়ে তৈরি করে নেওয়া যায় মজাদার মমো। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক রেসিপি-
উপকরণ
১. চিকেন কিমা ১২০ গ্রাম
২. পেঁয়াজ কুচি ১০০ গ্রাম
৩. কাঁচা মরিচ কুচি ২টি
৪. সয়া সস ২ চা চামচ
৫. আদা কুচি
৬. রসুন ৩-৪ কোয়া
পদ্ধতি
প্রথমে সামান্য লবণ দিয়ে ময়দা মাখিয়ে নিন। খেয়াল রাখবেন যেন ময়দা মাখানো ডো নরম হয়। অন্যদিকেপেঁয়াজ কুচি, আদা-রসুন-মরিচ কুচি, সয়া সস দিয়ে চিকেন কিমা মাখিয়ে রেখে দিতে হবে।
এবার ময়দার ডো ৮ ভাগে ভাগ করে নিন। এরপর ছোট ছোট ডোগুলোকে পাতলা করে বেলে নিন। মাঝে একটা চামচ রেখে একটু চ্যাপ্টা করে চিকেনের পুরটা ভরতে হবে।
এসময় একটু সতর্ক থাকবেন, যেন পাতলা রুটি ছিঁড়ে না যায়। এরপর শক্ত করে বন্ধ করতে হবে মোমোর মুখ। মমোর মুখটা ফুল আকৃতির করে হাত দিয়ে নকশা করে নিতে পারেন।
স্টিমারে খানিকটা তিলের তেল মাখিয়ে ২০ মিনিট মোমোগুলোকে ভাঁপ দিয়ে নিন। মমোগুলো ভালোভাবে হয়ে গেলে গরম গরম পরিবেশন করুন ধনেপাতার চাটনি দিয়ে।
লাইফস্টাইল ডেস্ক: খাসির গোশত খেতে কমবেশি সবাই পছন্দ করেন। কেউ খান খাসির গোশতের ভুনা, কেউবা আবার মাটন বিরিয়ানি। বিভিন্নভাবে রান্না করা যায় খাসির গোশত।
কখনো খাসির বাদামি কোরমা খেয়েছেন? খুবই মজাদার এ পদটির বিশেষত্ব হলো, এতে ব্যবহার করা হয় বাদাম। যেকোনো পদেই বাদাম ব্যবহার করলে এর স্বাদ দ্বিগুণ বেড়ে যায়।
চাইলে ঘরে বসেই তৈরি করে নিতে পারেন ভিন্ন স্বাদের এ পদটি। সময়ও খুব কম লাগবে তৈরি করতে। কয়েকটি উপকরণ গুছিয়ে নিয়ে দুপুরের জন্য রান্না করে ফেলুন খাসির বাদামি কোরমা ।
এ পদটি পোলাও, সাদা ভাত, রুটি বা পরোটার সঙ্গে খেতে নিশ্চয়ই অনেক ভালো লাগবে। ছোট-বড় সবার জন্য ঝটপট তৈরি করে নিন এ পদ। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক রেসিপি-
উপকরণ
১. খাসির গোশত ৫০০ গ্রাম
২. সবুজ এলাচ ৫টি
৩. এক কাপের দুই ভাগের এক ভাগ রসুনের কোয়া
৪. এক কাপের চার ভাগের এক ভাগ খোসা ছাড়ানো কাঠবাদাম
৫. এক কাপের চার ভাগের এক ভাগ ফ্রেশ ক্রিম
৬. এক কাপের দুই ভাগের এক কাপ ঘি
৭. লবঙ্গ ৩টি
৮. দারুচিনি ২টি
৯. এক কাপের চার ভাগের এক ভাগ দুধ
১০. পানি পরিমাণ মতো
পদ্ধতি
একটি পাত্রে পানি সেদ্ধ করুন। এর মধ্যে খাসির গোশত দিয়ে আবার কয়েক মিনিট সেদ্ধ করে নিন। এরপর চুলা থেকে নামিয়ে গোশতের পানি ঝড়িয়ে নিন। এরই মধ্যে রসুনের কোয়া ভিজিয়ে রাখুন।
এবার একটি প্যানের মধ্যে ঘি গরম করে সেদ্ধ গোশত, এলাচ, রসুন পানি, দারুচিনি ও লবণ দিয়ে নাড়তে থাকুন। গোশত হালকা বাদামি হয়ে আসা পর্যন্ত ভাজুন।
এরপর পানি দিন। গোশত সেদ্ধ হয়ে যখন পানি কমে আসবে; তখন চুলা বন্ধ করে গোশত ঠাণ্ডা হতে দিন। এবার কাঠবাদাম পেস্ট করে নিন। ঠান্ডা হয়ে যাওয়া গোশতের মধ্যে ক্রিম, কাঠবাদাম পেস্ট ও দুধ ভালো করে মিশিয়ে নিন।
এবার চুলা জ্বালিয়ে গোশত ভালোভাবে রান্না করুন। এভাবে ৫ মিনিট ঢেকে রান্না করুন। হয়ে এলে পরিবেশন করুন মজাদার বাদাম কোরমা।
লাইফস্টাইল ডেস্ক : আমাদের দেশে বিভিন্ন প্রজাতির বরই রয়েছে। এতে ভিটামিন ‘সি’ গলার ইনফেকশনজনিত অসুখ (যেমন: টনসিলাইটিস, ঠোঁটের কোণে ঘা, জিহ্বাতে ঠাণ্ডাজনিত লালচে ব্রণের মতো ফুলে যাওয়া, ঠোঁটের চামড়া উঠে যাওয়া) দূর করে।
বরই এর রস অ্যান্টি-ক্যানসার ড্রাগ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এই ফলে রয়েছে ক্যানসার সেল, টিউমার সেল, লিউকেমিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার অসাধারণ শক্তি।
উচ্চরক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এই ফল যথেষ্ট উপকারি। রক্ত বিশুদ্ধকারক হিসেবে এই ফলের গুরুত্ব অপরিসীম। ডায়রিয়া, ক্রমাগত মোটা হয়ে যাওয়া, রক্তের হিমোগ্লোবিন ভেঙে রক্তশূন্যতা তৈরি হওয়া, ব্রঙ্কাইটিস—এসব অসুখ দ্রুত ভালো করে বরই।
রুচি বাড়ানোর জন্যও এই ফলটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সিজনাল জ্বর, সর্দি-কাশির বিরুদ্ধে গড়ে তোলে প্রতিরোধ। নিদ্রাহীনতা দূর করে এই ছোট্ট ফল। আমাদের কর্মশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে বরই। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফলটি ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করে। তারুণ্য ধরে রাখে।
এখন বাজারে প্রচুর বরই পাওয়া যাচ্ছে। এখন এমনিই খান আর পুরো বছর খাওয়ার জন্য বরই দিয়ে আচার তৈরি করে রাখুন। খুব সহজে তৈরি বরই-এর টক-মিষ্টি-ঝাল আচার:
উপকরণ
বরই ২ কেজি, হলুদ গুঁড়া ২ চা-চামচ, মরিচ গুঁড়া ৪ চা-চামচ, লবণ ৬ চা-চামচ, সিরকা আধা কাপ, পাঁচফোড়ন গুঁড়া ৪ চা-চামচ, তেজপাতা ৪/৫ টি, আদা বাটা ৩ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ৫ টেবিল চামচ, সরিষা বাটা ৬ টেবিল চামচ, শুকনা মরিচ ৮ টি, চিনি- ১ কাপ ও সরিষার তেল ৩ কাপ।
প্রণালী
প্রথমে বরই ধুয়ে লবণ দিয়ে সেদ্ধ করে নিন। এবার একটা পাত্র চুলায় দিয়ে গরম করুন এবং তেল দিন। তেল গরম হলে তেজপাতা ও শুকনা মরিচ ভেজে সব মসলা ও দিয়ে ৬ মিনিট কষিয়ে নিন। মসলা কষানোর সময় পানির পরিবর্তে সিরকা দিন। সেদ্ধ বরইগুলো দিয়ে নাড়তে থাকুন কিছুক্ষণ পর চিনি দিন। বরই-এর পানি শুকিয়ে তেল উঠে এলে নামিয়ে ঠাণ্ডা করে স্বচ্ছ জারে ভরে রাখুন। বেশি দিন সংরক্ষণের জন্য মাঝে মাঝে আচার রোদে দিতে হবে।
আর যারা এত কষ্ট করতে চান না, তারা খুব সহজে তেল মসলা ছাড়া বরই আচার করে রেখে দিন। বেশ কয়েক দিন খেতে পারবেন।
দেশি আধা পাকা বরই নিন আধা কেজি, কিছু দেশি রসুনের কোয়া, শুকনা মরিচ আর লবণের লেয়ার করে একসঙ্গে বয়ামে ভরে কয়েক দিন ভালো করে রোদে শুকিয়ে নিন। এক সপ্তাহ পরে বয়াম থেকে কয়েকটা বরই খেয়ে দেখুন। ইচ্ছা করবে পুরোটা খেয়ে শেষ করতে।
লাইফস্টাইল ডেস্ক: গরুর গোশত প্রায় আমাদের সবারই পছন্দ। বাড়িতে তৈরি করতে পারেন ভিন্ন স্বাদের চট্টগ্রামের বিখ্যাত খাবার গরুর গোশতের কালো ভুনা।
জেনে নিন রেসিপি
উপকরণ
গরুর গোশত-২ কেজি, সরিষার তেল-আধা কাপ, আদা, রসুন, পেঁয়াজ বাটা ১ কাপ, হলুদ গুঁড়া-২ চামচ, মরিচ গুঁড়া-৪ চামচ, ধনিয়া গুঁড়া-২ চামচ, জিরা গুঁড়া ১ চামচ, আলু বোখারা-৫টি, টমাটো লম্বা ফালি-২টি, কাঁচা মরিচ আস্ত ৬টি, লবণ-২ চামচ, পেঁয়াজ কুচি- ১কাপ, হাটহাজারী মরিচ ভেজে গুঁড়া করা-৩ চামচ, ধনেপাতা কুচি- ২ চামচ, গরম মসলা গুঁড়া- ২ চামচ।
তৈরি করার নিয়ম
প্রথমে একটি পাত্রে গরুর গোশত, আদা, রসুন, পেঁয়াজ বাটা, মরিচ, ধনিয়া ও জিরা গুঁড়া, আলুবোখারা, টমেটো, কাঁচা মরিচ, লবণ, পেঁয়াজ কুচি ও সরিষার তেল দিয়ে ভালো করে মেখে নিন।
এবার চুলায় একটি হাঁড়ি দিন। হাঁড়িতে মাখানো গোশত দিয়ে একটু নেড়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ৩০ মিনিট জ্বাল দিতে হবে। চুলায় আরেকটি হাঁড়িতে তেল দিন। তেল গরম হলে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে সামান্য ভেজে জ্বালে রাখা গরুর গোশত, হাটহাজারী মরিচ গুঁড়া, ধনেপাতা কুচি, গরম মসলা গুঁড়া দিয়ে নাড়াচাড়া করুন। গোশত কালো হয়ে ওপরে তেল ভেসে উঠলে নামিয়ে নিন।
তৈরি হয়ে গেল কালো ভুনা। সুন্দর করে সাজিয়ে গরম ভাত বা পোলাওয়ের সঙ্গে পরিবেশন করুন দারুণ মজার কালো ভুনা।
নিউজ ডেস্ক : শীতে প্রকৃতি শুষ্ক থাকে। এর প্রভাব সব কিছুর উপরই পড়ে। বাসা-বাড়ির টবের পানিও শুকিয়ে যায় দ্রুত। ঘরের ভেতর, বাসার ছাদে বা বারান্দার টবে রাখা গাছগুলো এ সময় শীতেও জীর্ণ হয়ে যেতে পারে। তাই নিয়মিত যত্ন নিতে হবে। এই ঠান্ডা আবহাওয়ায় গাছের যত্ন নেবেন যেভাবে তা জেনে নিন।
শীত মানেই গাছ ঠান্ডা থাকবে এমন নয়। এ সময় গাছেরও সূর্যের আলোর প্রয়োজন আছে। গাছের গায়ে সকালের রোদ লাগতে দিন। এতে শীতেও ভালো থাকবে গাছ। শীত যদি খুব বেশি হয়, ছোট টবগুলো ঘরের ভেতরেই রাখুন। পরদিন সকালে বারান্দায় রোদে দিন।
শীতকালে গাছে অতিরিক্ত পানি না দেওয়াই ভালো। মাটি সহজে শুকায় না বলে শিকড় পচে যেতে পারে। মাটি পরীক্ষা করে পানি দিন।
শীতের সময় গাছের গায়ে বাড়তি ধুলো জমতে পারে। পরিষ্কার নরম কাপড় দিয়ে সেগুলো ঝেড়ে ফেলুন।
ঘরের টবে পানি দেওয়ার জন্য স্প্রে ব্যবহার করুন। এতে বাড়তি পানি নষ্ট হবে না।
শীত বেশি হলে অনেক গাছ মরে যেতে পারে। এমন হলে গাছ খানিকটা ছেঁটে দিতে পারেন। শীত কমে গেলে নতুন পাতা গজিয়ে সতেজ হয়ে উঠবে আপনার শখের গাছটি।
ফেলে দেয়া চা পাতা, শাকসবজির ছিলকা, ডিমের খোসা মিলিয়ে বানিয়ে ফেলুন ঘরে বানানো সার। এই সার গাছের জন্য বেশ উপকারী।
পাতার রং যদি হালকা হয়ে যায়, তবে পানি না দিয়ে মাটি শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। সূর্যের আলোতে গাছ রাখুন।
লাইফস্টাইল ডেস্ক : মুরগি, গরু কিংবা খাসি যেকোনো মাংসের ঝোলের সঙ্গে ছিটা রুটি পিঠা খাওয়ার স্বাদই আলাদা। শীত এলেই মজাদার এ ছিটা রুটি পিঠা তৈরির ধুম পড়ে যায়। এটি তৈরি করাও বেশ সহজ। দেখতেও যেমন সুন্দর; খেতেও তেমনই মজাদার ছিটা রুটি।
চালের গুড়ার মিশ্রণে হাত চুবিয়ে তাওয়া বা প্যানের উপর ছিটিয়ে তৈরি করা হয় বিশেষ এ রুটি। যে কারণে এর নাম ছিটা রুটি। কেউ আবার ছটকা রুটি বা ছিটরুটিও বলে থাকেন।
শুধু মাংসের ঝোলেই নয়; খেজুরের গুড়েও চুবিয়ে খাওয়া যায় ছিটা রুটি। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক ছিটা রুটি পিঠার সহজ রেসিপি-
উপকরণ
১. চালের গুড়া ২ কাপ (১২-১৫টি রুটি হতে পারে)
২. পানি ৩ কাপ
৩. ডিম ১টি ফেটানো
৪. লবণ পরিমাণমতো
৫. তেল পরিমাণমতো
পদ্ধতি: প্রথমে একটি পাত্রে লবণ ও ৩ কাপ পানিতে চালের গুড়া মিশিয়ে নিন ভালোকরে। পাতলা মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। এ মিশ্রণের সঙ্গে ১টি ডিম ফেটিয়ে মিশিয়ে নিন। এ অবস্থায় মিশ্রণটি ১৫ মিনিট রেখে দিন।
এরপর একটি প্যানে তেল ব্রাশ করে চালের গুঁড়ার মিশ্রণে হাত চুবিয়ে প্যানে ছিটিয়ে দিন। আঙুলগুলো প্যানের উপর ঝেড়ে নিন। এভাবে প্রতি রুটির জন্য ৩-৪ বার মিশ্রণটিতে হাত চুবিয়ে পরপর ছিটিয়ে দিন।
চুলার আঁচ কমানো থাকবে রুটি যেন পুড়ে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখুন। রুটি হয়ে গেলে আলতো করে পাটিসাপটার মতো রোল করে অথবা তিন কোণা আকৃতির ভাঁজ করে তুলে ফেলুন।
এভাবেই একেক করে ছিটা রুটি পিঠা তৈরি করে নিন। রুটিগুলো যেন গরম থাকে এমন কিছুতে তুলে রাখুন। মিশ্রণটি যদি জমে যাওয়ার মতো হয়; তাহলে একটু পানি মিশিয়ে ভালো করে নেড়ে নিন।
বানানো হয়ে গেলে ছিটা রুটির সঙ্গে ভুনা মাংস ও ঝোল, সালাদ, খেজুরের রস কিংবা নারকেল কোরানো দিয়ে পরিবেশন করতে পারেন।
লাইফস্টাইল ডেস্ক : শীত এলেই গ্রামে পিঠা তৈরির ধুম পড়ে যায়। শুধু গ্রামে কেন, এখন তো শহরের সব ঘরেও কোনো না কোনো পিঠা তৈরি হয়। শীতে পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা।
বাংলাদেশে কত রকম পিঠা হয় তা বলে শেষ করা কঠিন। এসবের নামেও রয়েছে বৈচিত্র। একেক পিঠার স্বাদেও রয়েছে ভিন্নতা। ভাঁপা, চিতই, পাকনসহ নানা পিঠার স্বাদ শীত এলেই মনে পড়ে।
ছোট-বড় সবাই কিন্তু পিঠাপ্রেমী। যদিও একেক জনের পছন্দ একেক রকম। তবে পাকন পিঠা সবারই পছন্দের। পাকন পিঠার মধ্যেও রকম-ফের আছে। নকশি পাকন, সুন্দরী পাকন, মুগ পাকন, ডালের পাকন, সুজির পাকন ইত্যাদি।
এসবের মধ্যে নকশি পাকন পিঠা বেশ জনপ্রিয়। চাইলেই ঘরে বসে তৈরি করে নিতে পারেন এ পিঠা। দেখতেও যেমন সুন্দর; খেতেও তেমন মচমচে।
চলুন তবে জেনে নেয়া যাক নকশি পাকন পিঠার রেসিপি-
উপকরণঃ
১. আতপ চালের গুঁড়া ২ কাপ
২. মুগ ডাল আধা কাপ
৩. দুধ ২ কাপ
৪. পানি ১ কাপ
৫. ঘি ১ টেবিল চামচ
৬. চিনি ১ কাপ ও পানি ১ কাপ
৭. নকশা করার জন্য টুথপিক লাগবে।
পদ্ধতিঃ
প্রথমে দুধের সঙ্গে পানি মিশিয়ে ফোটাতে হবে। ফুটে উঠলে সামান্য লবণ ও চালের গুঁড়া দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে চুলা বন্ধ করে রাখুন কয়েক মিনিট। পাত্রটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখুন।
মুগ ডাল টেলে সেদ্ধ করে বেটে নিন। চালের গুঁড়ার ডো ভালোভাবে মথে এর সঙ্গে ডাল ও ঘি দিয়ে মাখুন। রুটি বেলে পছন্দসই পিঠা কেটে নিন। টুথপিক দিয়ে পিঠার উপরে নকশা এঁকে দিন।
একটি বড় ফ্রাইপ্যানে ডুবো তেলের মধ্যে মাঝারি আঁচে ভাজুন পিঠাগুলো। বাদামি রঙা করে সবগুলো পিঠা ভেজে নিয়ে শিরায় ডুবিয়ে তুলে একটি পাত্রে রাখুন।
তৈরি হয়ে গেল মজাদার নকশি পাকন পিঠা। সংরক্ষণ করে এ পিঠা যেকোনো সময় খেতে পারবেন সবাইকে নিয়ে।
নিউজ ডেস্ক: শীতে পিঠা-পুলি কার না পছন্দ। এই সময়ে সুস্বাদু একটি পিঠা হচ্ছে নারকেল গুড়ের মেরা পিঠা। আসুন জেনে নেই কীভাবে তৈরি করবেন নারকেল গুড়ের মেরা পিঠা-
উপকরণ
আতপ চালের গুঁড়া ৩ কাপ, গুঁড় ২ কাপ, কোরানো নারকেল ১ কাপ ও লবণ সামান্য।
যেভাবে তৈরি করবেন
আড়াই কাপের মতো পানিতে গুড় দিয়ে জ্বাল দিতে হবে। ফুটে উঠলে চালের গুঁড়া ও কোরানো নারকেল দিয়ে নাড়ুন। চুলা থেকে নামিয়ে কয়েক মিনিট ঢেকে রাখুন।
এবার ভালোভাবে মথে নিন, গোল ছোট ছোট বলের মতো করে হাতের তালু দিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে পিঠা তৈরি করুন।
ভাপে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে নামিয়ে নিন। ঠান্ডা হলে পরিবেশন করুন। মিষ্টি খেতে না চাইলে গুড় বাদ দিয়ে তৈরি করতে পারেন।
লাইফস্টাইল ডেস্ক : গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী এক খাবার হলো কুমড়া বড়ি। শীত এলেই কুমড়া বড়ি বানানোর ধুম পড়ে যায়। অনেকে একে ডালের বড়িও বলে থাকেন। তরকারির স্বাদ বহুগুণে বাড়িয়ে দেয় বড়ি। মজাদার বড়ি তরকারির পাশাপাশি ভর্তা করেও খাওয়া হয়।
কুমড়া বড়ি বানানো বেশ ঝামেলার বলে মনে করেন অনেকেই! তবে চাইলেই কিন্তু সহজ উপায়ে বাসায় তৈরি করে নিতে পারবেন কুমড়ার বড়ি। বড়ি অনেকদিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করেও খাওয়া যায়। জেনে নিন রেসিপি-
উপকরণ
১. মাসকলাইয়ের ডাল ১ কাপ
২. চালকুমড়া একটার অর্ধেক
৩. পাঁচফোড়নের গুঁড়া আধা চা চামচ
৪. কালোজিরা সামান্য
পদ্ধতি: প্রথমে চালকুমড়া মিহি করে কুচি করে নিন। তারপর ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। যেন এর টক কস ভাব না থাকে। মিহি ভালো না হলে বেটেও নিতে পারেন। এদিকে সারারাত ভিজিয়ে রাখা মাসকলাইয়ের ডাল ভালোভাবে ধুয়ে নিন।
যতক্ষণ না ডাল থেকে পরিষ্কার পানি বের হবে; ততক্ষণ ধুতেই হবে। যখন ডালগুলো সাদা হয়ে যাবে; তখন বুঝবেন হয়ে গেছে। তারপর পাটায় বা ব্লেন্ডারে বেটে নিতে হবে।
একটা বড় গামলায় বাটা ডাল ও চালকুমড়া ভালোভাবে অল্প অল্প করে মিশিয়ে মাখাতে হবে। ডাল মাখাতে মাখাতে একটা ফ্লাপি ভাব আনতে হবে।
মাথায় রাখবেন, এ মিশ্রণটি অনেকক্ষণ ধরে মাখাতে হবে। তারপর ছাদে পরিষ্কার পাতলা কাপড় পেতে ছোট ছোট করে বড়ি দিতে হবে। দু’দিন ভালোভাবে রোদ লাগলেই শুকিয়ে হয়ে যাবে বড়ি।
প্রথম দিন দুপুরের দিকে হাত দিয়ে দেখে যদি মনে হয় একটু শক্ত ভাব হয়ে গেছে। তাহলে কাপড় উল্টে বড়ির উল্টোপাশে রোদে দিবেন। ৫-৭ দিন পর থেকে রান্নায় ব্যবহার করতে পারবেন।
লাইফস্টাইল ডেস্ক : সাদা চিনি স্বাস্থ্যের জন্য যতটা ক্ষতিকর; বাদামি চিনি ততটা বিপজ্জনক নয়। খাওয়ার পাশাপাশি এ চিনি রূপচর্চায়ও বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে। শীতে ত্বক কালচে হয়ে যায় আবার ফাটে ত্বক ও ঠোঁট। এসব সমস্যার সমাধানে বাদামি চিনি বা ব্রাউন সুগার উপকারী।
>> শীতে ত্বকের মসৃণতা বজায় রাখতে ব্রাউন সুগারের জুড়ি মেলা ভার। বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্রাউন সুগার প্রকৃতি থেকে জলজ উপাদানকে আকর্ষণ করে তা ত্বকে মিশিয়ে দেয়। ফলে ত্বক আর্দ্রভাব ফিরে পায় ও সজীব থাকে।
>> ব্রণ দূর করতে পারে ব্রাউন সুগার। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ত্বকে ক্ষতিকারক প্রভাব পড়তে দেয় না। শুষ্ক চামড়ার হাত থেকেও রেহাই মেলে।
>> শীতে ত্বক কুঁচকে হয়ে যায় ও কালো হয়ে থাকে। ত্বকের মরা কোষ দূর করতে সাহায্য করে চিনি। এজন্য চিনির সঙ্গে লেবু মিশিয়ে স্ক্রাব করুন। এতে ত্বক হয় তরতাজা। শুধু মুখমণ্ডল নয়, হাত-পায়ে কিংবা ঘাড়ে লাগাতে পারেন।
>> ব্রাউন সুগারে প্রচুর পরিমাণে গ্লাইকোলিক থাকে। ফলে সানবার্নসহ ত্বকের কালো দাগ দূর হয়।
>> শীতকালে ঠোঁট ফাটার সমস্যায় সবাই কমবেশি ভোগেন। এক্ষেত্রে ব্রাউন সুগার রয়েছে এমন লিপ বাম ব্যবহার করতে পারেন। এতে ঠোঁটের আর্দ্রতা বজায় থাকবে।
চাইলে ঘরে বসেও তৈরি করতে পারে ব্রাউন সুগার। জেনে নিন রেসিপি-
উপকরণ
১. মোটা দানার চিনি ১ কাপ
২. ঝোলা গুড় ১-২ টেবিল চামচ (যতটা ডার্ক আপনি চান)
৩. লবণ ১ চিমটি
পদ্ধতি
উপকরণগুলো একটা বড় বাটিতে নিন। এরপর কাটা চামচ বা বিটার দিয়ে মিক্স করতে থাকুন। একটু সময় লাগবে। ৮ থেকে ১০ মিনিটের মাঝে সব গুড় শুষে নেবে চিনি। ইচ্ছামতো গুড় বাড়িয়ে কমিয়ে লাইট বা ডার্ক করে নেবেন। কনটেইনারের মুখ আটকে সংরক্ষণ করুন।