আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকের মতো শক্তিশালী ব্যাংকের অকস্মাৎ পতনের পর নড়বড়ে অবস্থায় রয়েছে মার্কিন ব্যাংকিং খাত। গ্রাহকরাও সব হারানোর শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন। যদিও দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আশ্বাস দিয়েছেন, গ্রাহকদের সব জামানতই নিরাপদ।
তবে সেই মরার ওপর খাড়ার ঘা হয়েই হাজির মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আরেকটি সিদ্ধান্ত। আবারও দেশটিতে সামগ্রিক সুদের হার বাড়ানো হয়েছে। অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিশেষ করে মুদ্রাস্ফীতি সামাল দিতে এবার ০.২৫ শতাংশ সুদের হার বাড়িয়েছে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ।
সাথে ব্যাংকটি এই সতর্কতাও দিয়েছে যে, ব্যাংক খাতের বিপর্যয় ঠেকাতে না পারলে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বড় ধরনে ধাক্কা লাগবে।
জীবনযাপন ব্যয়ের লাগাম টানতেই সুদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে গত বছর থেকে থেমে থেমে সুদের হার বাড়ানোয় ব্যাংকিং খাতে ভয়াবহ বিপর্যয় নামতে পারে বলে শঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।
অনেকেই সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক ও সিগনেচার ব্যাংকের পতনের জন্য চড়া সুদের হারকেই দায়ি করেছেন।
যদিও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো বলছে, মার্কিন ব্যাংকের এমন পতন গোটা বিশ্বের অর্থনীতিকে তেমন কোনো হুমকিতে ফেলছে না। সাথে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করার কার্যক্রমও অব্যাহত রাখা উচিত বলেই মত নানা দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
গত সপ্তাহে ইউরোপের কেন্দ্রীয় ব্যাংকও সুদের গার ০.৫ শতাংশ বাড়িেছে।
বুধবার যুক্তরাষ্ট্রে সুদের হার বেড়ে ৪.৭৫ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশ হয়েছে। এর কারণে বাড়ি কেনা কিংবা ব্যবসার জন্য ঋণ নিতে গুণতে হবে উচ্চ হারে সুদ। ফলে মানুষের জীবনযাপন ব্যয় কমার বদলে উল্টো আরও বাড়তে পারে বলেই শঙ্কা অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের। যদিও ফেডারেল রিজার্ভের প্রত্যাশা এতে মার্কিন নাগরিকদের জীবনযাপন ব্যয় কমবে।
মুদ্রাস্ফীতি বাড়তে থাকায় বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে খাদ্য পণ্যসহ সবকিছুর দাম তরতর করে বাড়ছে।
সূত্র: বিবিসি