নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকার কমলাপুর থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রথম ধাপে আগামী সেপ্টেম্বরে খুলবে ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা অংশের ৮২ কিলোমিটার। এতে উচ্ছ্বসিত পদ্মার দুই পারের বাসিন্দারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা থেকে মাওয়া অংশের ৪২.২০ কিলোমিটার রেললাইন তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। মাওয়া স্টেশনের শেষ মুহূর্তের কাজে বিরাম নেই শ্রমিকদের। দৃষ্টিনন্দন স্টেশনটিতে থাকছে আধুনিক সব ব্যবস্থা। যাত্রী পারাপারে থাকছে আন্ডারপাসও। পদ্মা পারের জাজিরা অংশেও চলছে কর্মযজ্ঞ। প্রস্তুত হচ্ছে পদ্মা স্টেশন। দৃশ্যমান হচ্ছে ফরিদপুরের ভাঙ্গা রেল জংশন। এরই মধ্যে জংশনে নির্মাণ হয়েছে ১৪টি বিল্ডিং। চালু হবে মাওয়া, শিবচর, পদ্মা ও ভাঙ্গা রেলস্টেশন।
আপাতত ঢাকা থেকে ফরিদপুরে এক জোড়া ট্রেন চলবে। তবে শিডিউল বিপর্যয়হীন, টিকিট কালোবাজারিমুক্ত, পরিচ্ছন্ন রেল ব্যবস্থা চান ঢাকা—মাওয়াবাসী।
পদ্মা রেল সেতুর প্রকল্প পরিচালক আফজাল হোসেন জানান, প্রকল্প বাস্তবায়নে ভূমি অধিগ্রহণ একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এ ছাড়াও থাকে নানা রকম জটিলতা।
তিনি বলেন, সেনাবাহিনী থাকায় বেশ কিছু কাজ আমরা অনেক দ্রুত শেষ করতে পেরেছি। আমাদের ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ঢাকা থেকে যশোর পুরো অংশেই আমাদের কাজ চলমান রয়েছে। তবে আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে আমরা ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা অংশ উদ্বোধনের প্রস্তুতি নিয়েছি।
যশোর পর্যন্ত ট্রেন সেবা পেতে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত অপেক্ষা করার কথাও জানান প্রকল্প পরিচালক।