নিজস্ব প্রতিবেদক: এলএনজি সরবরাহকারী, আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানি (আইওসি) এবং পাওয়ার প্লান্ট মালিকদেরকে এ মাস থেকেই প্রতি মাসে প্রায় ৯৬ কোটি ডলার পাওনা পরিশোধ করবে বাংলাদেশ। দেশি মুদ্রায় যা প্রায় ১০,৩৭৭ কোটি টাকা। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন উইওয়ান নিউজ। এতে আরও বলা হয়, পাওয়ার প্লান্ট মালিকদের পাওনা পরিশোধের জন্য প্রতি সপ্তাহে ১৬ কোটি ডলার (১৭২৯.৫৩ কোটি টাকা) বরাদ্দ দেয়া হবে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের (এমপিইএমআর) অধীনে বিদ্যুৎ বিভাগকে। একই সময়ে এলএনজি সরবরাহকারী এবং আইওসিদের পাওনা পরিশোধে ৮ কোটি ডলার (৮৬৪.৭৭ কোটি টাকা) দেয়া হবে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগকে। অর্থাৎ প্রতি সপ্তাহে পরিশোধ করা হবে ২৪ কোটি ডলার। প্রাকৃতি গ্যাসের সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে এলএনজি সরবরাহকারী ও আইওসিকে তাদের বকেয়া পাওনা পরিশোধের ওপর জোর দিয়েছেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার। বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখার জন্য ২০২৩—২০২৪ অর্থ বছরে ৫৯২ কোটি ১০ লাখ ডলার দাবি করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
রিপোর্টে আরও বলা হয়, আর্থিক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিদ্যুতের সরবরাহ নির্বিঘ্ন রাখতে বৈশ্বিক ঋণদাতাদের সমর্থনে জ্বালানির এই বিল পরিশোধ করার লক্ষ্য নিয়েছে সরকার। ইসলামিক ট্রেড ফাইন্যান্স করপোরেশনের কাছ থেকে প্রায় ৫০ কোটি ডলার ঋণ পেতে বর্তমানে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে পেট্রোবাংলা।
জুনের হিসাব মতে, বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীদের কাছে সরকারের বকেয়া রয়েছে প্রায় ২৪০ কোটি ডলার।
ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি খাতে বকেয়া আছে ৪৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার। গ্যাস কোম্পানিগুলোর কাছে বকেয়া ৩৫ কোটি ডলার এবং এলএনজি সরবরাহকারীদের কাছে বকেয়ার পরিমাণ ৩২ কোটি ডলার।