আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেন ইইউ-এর মিত্র নয় এবং তাদেরকে ইইউ সদস্যপদ প্রার্থীর মর্যাদা প্রদান করা হাস্যকর। জাগরেবে ক্রোয়েশিয়ান মিলিটারি একাডেমির বার্ষিকীতে বক্তৃতা দেয়ার সময় এ মন্তব্য করেছে ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোরান মিলানোভিক।
‘ইউক্রেন কোন মিত্র নয়, কিন্তু ইইউ তাদেরকে মিত্র বানানোর চেষ্টা করছে। তাদেরকে হাস্যকরভাবে ইইউ সদস্যপদ প্রার্থীর মর্যাদা দিয়ে উপস্থাপন করা হচ্ছে, একটি ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা। দরিদ্র বসনিয়া ও হার্জেগোভিনাকে অপেক্ষা করতে হয়েছিল, যা ছিল একটি ভয়ঙ্কর অপমান। এই হচ্ছে আজকের ইউরোপীয় ইউনিয়ন, একটি বিপর্যয়, শূন্য,’ ক্রোয়েশিয়ান প্রেসিডেন্ট বলেছে।
মিলানোভিচ বিশ্বাস করে যে, ইউক্রেনের সংঘাত ‘অনিবার্য ছিল।’ ‘সম্পূর্ণ পশ্চিমা এবং আমেরিকান যুদ্ধের দর্শন হ’ল দুর্বল কাউকে আক্রমণ করা এবং তার রক্ত পান করা, তাদের মারধর করা, তাদের দেশকে ধ্বংস করা,’ তিনি দাবি করেছিলেন যে রাশিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইচ্ছাকৃতভাবে এই সংঘাতে নেমেছিল। ক্রোয়েশিয়ান প্রেসিডেন্ট বিশ্বাস করে, ‘এটি একটি আমেরিকান যুদ্ধ, যারা ইউক্রেনীয়দের কাঁধে বন্দুক রেখে যুদ্ধ করছে।’
মিলানোভিচ ক্রোয়েশিয়ার যুদ্ধ প্রস্তুতির বিপর্যয়কর অবস্থার কথাও বলেছে, উল্লেখ করেছে যে, প্রজাতন্ত্রকে তার সমস্ত অস্ত্র ইউক্রেনকে দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। ‘এবং কে আমাদের রক্ষা করবে? আমেরিকানরা? যেমন তারা ইউক্রেনকে রক্ষা করে কিভাবে? আমি একটি সঙ্কটের ক্ষেত্রে পদাতিক বাহিনীর যুদ্ধ প্রস্তুতি নিয়ে উদ্বিগ্ন, কারণ তারাই সবকিছু,’ প্রেসিডেন্ট জোর দিয়ে বলেছিলেন।
এর আগে, ক্রোয়েশিয়ান পার্লামেন্ট ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীকে প্রজাতন্ত্রে প্রশিক্ষণের সুযোগ দেয়ার জন্য সরকারের প্রস্তাবকে সমর্থন করেনি। মিলানোভিচ ক্রোয়েশিয়ান ভূখণ্ডে ইউক্রেনীয় সেনাদের প্রশিক্ষণের বিরুদ্ধেও কথা বলেছে। তিনি নিশ্চিত যে, বেশ কয়েকটি ইইউ দেশে ইউক্রেনীয় সেনাদের প্রশিক্ষণ বিপজ্জনক পরিণতি ডেকে আনে।
সূত্র: তাস।