আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্যারিসে সন্ত্রাসীর হামলা। সেই হামলায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত তিনজনের। আহত বেশ কয়েকজন। অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বয়স ৬০-এর ঘরে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে খুন ও হিংসার মতো একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে।
ঠিক কী হয়েছিল? জানা যাচ্ছে, মধ্য প্যারিসে কুর্দিশ সংস্কৃতির এক পীঠস্থানে আচমকাই গুলি চালাতে শুরু করে অভিযুক্ত প্রৌঢ়। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, অন্তত ৭ থেকে ৮ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ওই হামলায়। তাঁদের মধ্যে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকিরা গুরুতর আহত। ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, ‘সঙ্গে সঙ্গে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। আমরা একটি দোকানের মধ্যে ঢুকে পড়ে সেখানে আশ্রয় নিয়েছিলাম।’
পুলিশ যেভাবে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে তার প্রশংসা করেছেন প্যারিসের মেয়র অ্যানি হিদালগো। সামনেই ক্রিসমাস। এহেন পরিস্থিতিতে আচমকাই ফ্রান্সের রাজধানীর বুকে এমন হামলার ঘটনা ঘটল। পুলিশ সবাইকে ওই রাস্তা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেয় হামলার ঘটনা ঘটার পর। দ্রুত আপৎকালীন কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন বলে জানা গিয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে ওই হামলাকারী ফ্রান্সেরই নাগরিক। বছরখানেক আগেও সে একটি হামলার ঘটনায় জড়িয়েছিল। সেবার এক অভিবাসী কেন্দ্রে গুলি চালিয়েছিল অভিযুক্ত।
সূত্র: এএফপি।