নিজস্ব প্রতিবেদক: বিদায়ী বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে দুর্নীতির বিভিন্ন মামলার আসামি তথা দুর্নীতিবাজদের দুই হাজার ৬৩২ কোটি ৪১ লাখ টাকা জরিমানা এবং প্রায় ১৪ কোটি টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সংস্থাটির করা বিভিন্ন মামলায় আদালতের নির্দেশনায় এসব অর্থ জরিমানা ও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এছাড়া আসামিদের ৮১৫ কোটি টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ক্রোক ও অবরুদ্ধ হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) মো. মোজাম্মেল হক খান গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, ২০২২ সালে দুর্নীতির বিভিন্ন মামলায় দুর্নীতিবাজদের ২ হাজার ৬৩২ কোটি ৪১ লাখ ৪৩ হাজার ৭৮৩ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সময়ে রাষ্ট্রের অনুকূলে আদালতের নির্দেশনায় ১৩ কোটি ৯৬ লাখ ১৯ হাজার ১৬৭ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
মোজাম্মেল হক বলেন, দুর্নীতিবাজদের দুর্নীতির টাকা ভোগ করতে দেওয়া হবে না। দুর্নীতি করলে পার পাওয়া যাবে না। করোনা মহামারির কারণে দুদকের কর্মকাণ্ড কিছুটা মন্থর মনে হলেও শিগগির গ্রেফতার অভিযান জোরদার করা হবে।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালে দুর্নীতিবাজদের মোট ৫৮৫ কোটি ৯২ লাখ ৫৮ হাজার ১৫৬ টাকার স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ঢাকা ও ঢাকার বাইরের ১৪৪ দশমিক ২৪৪৫৬ একর জমি, ২৭টি বাড়ি, ১৯টি ফ্ল্যাট, ১১টি গাড়ি ও চারটি নৌযান।
অন্যদিকে অবরুদ্ধ বা ফ্রিজ হওয়া অস্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে- ১৪৪৮টি ব্যাংক হিসাব ও ১১টি এফডিআরে ১৪৪ কোটি ৫৮ লাখ ৩৯ হাজার ৭০৬ টাকা, ২৭ হাজার ৯৫৪ মার্কিন ডলার ও ৭৯ কোটি ২১ লাখ ৩৫ হাজার ৪৬০ টাকার শেয়ার। মোট অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ২২৪ কোটি ৭৯ লাখ ৭৫ হাজার ১৬৬ টাকা।
দুদক সূত্রে আরও জানা যায়, ক্রোক ও অবরুদ্ধ হওয়া সম্পদের মধ্যে আলোচিত প্রশান্ত কুমার হালদারের জমি ও ভবন, রাজউকের সম্পত্তি ও সাউথ বাংলা এগ্রিকালচারের সাবেক চেয়ারম্যান এস এম আমজাদ হোসেনের সম্পত্তি রয়েছে।