আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় শহর আলেপ্পোতে একটি আবাসিক ভবন ধসে অন্তত ১৩ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। ধ্বংসস্তুপের নিচে আরও অনেকে আটকা পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, তাদের উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করছেন দেশটির উদ্ধারকর্মীরা।
আজ রোববার আলেপ্পোর শেখ মাকসুদ জেলায় ভবন ধসের এই ঘটনা ঘটেছে বলে দেশটির সরকারি সংবাদমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সিরিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আলেপ্পোর শেখ মাকসুদ জেলায় পাঁচ তলা ভবন ধসে পড়েছে। পানি লিকেজ হয়ে যাওয়ায় ভবনটির ভিত্তি দুর্বল হয়ে পড়েছিল বলে সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
ছয় বছর আগে রাশিয়া ও সিরিয়ার ব্যাপক বোমা হামলায় আলেপ্পোর নিয়ন্ত্রণ হারায় দেশটির বিদ্রোহীরা। হামলায় শহরটির অনেক ভবন ক্ষত-বিক্ষত হওয়ায় গত কয়েক বছরে আলেপ্পোতে বেশ কিছু ভবন ধসে পড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন, বাস্তুচ্যুত বহু সিরীয় নাগরিককে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা সংঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত আলেপ্পোর ভবনগুলোতে স্থানান্তর করা হয়েছে। আবাসিক এলাকাগুলোর পুনর্র্নিমাণ যথাযথ প্রক্রিয়ায় হয়নি এবং সেখানে রাষ্ট্রীয় ন্যূনতম পরিষেবাও অপ্রতুল রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তারা। যেসব জেলায় বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়েছিল, সেসব জেলার বাসিন্দাদের শায়েস্তা করতে সিরিয়ার এই প্রেসিডেন্ট বিভিন্ন ধরনের সরকারি পরিষেবা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, অনেক ক্ষেত্রে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত ভবন সংস্কারের কাজ করা হয় এবং স্থানীয় লোকজনকে ক্ষতিপূরণও দেওয়া হয়।
দেশটিতে জনগণের ভোগান্তি এবং পুনর্গঠনের কাজ ধীরগতির কারণ হিসেবে যুদ্ধ ও পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাকে দায়ী করে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সরকার।
তবে বিদ্রোহীদের কাছ থেকে পুনর্দখলে নেওয়া শহরগুলোতে বৈরী ও বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগ অস্বীকার করেছে দেশটির সরকার। দেশের সব এলাকায় স্বাভাবিক পরিষেবা পুনরায় চালুর বিষয়ে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছে।
সূত্র: রয়টার্স।