নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি)। একই সঙ্গে ১০৬ নম্বরে দুর্নীতির তথ্য জানাতে মানুষকে সচেতন করতে বলা হয়েছে। ডিসিদের এই নির্দেশনা দিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দিন আবদুল্লাহ।
বুধবার (২৫ জানুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ডিসি সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান দুদক চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, জেলা প্রশাসকরা সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন। তাই জেলাতে কোনো দুর্নীতি হলে তার তথ্য পাওয়ার অনেক সোর্স রয়েছে তাদের। দুর্নীতির তথ্য পেলে তারা যেন বসে না থেকে। সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ নেয়, যাতে দুর্নীতি বন্ধ হয়। জেলা প্রশাসকদের সে অনুরোধ জানিয়েছি।
দুর্নীতিবিষয়ক কোনো তথ্য ১০৬ নম্বরে ফোন করে কীভাবে জানাতে হয় সে বিষয়ে মানুষকে সচেতন করার অনুরোধ জানান দুদক চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, দুর্নীতিকে সঙ্গে রেখে স্মার্ট বাংলাদেশে পৌঁছানো সম্ভব না। দুর্নীতিকে দমনের মাধ্যমেই অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখা যাবে।
জেলা-উপজেলা পর্যায়ে ভূমি অফিস এবং অনেক সময় জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ থাকে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ভূমি অফিস বা অন্য কোথাও, এছাড়া জেলা পর্যায়ে যদি দুর্নীতি হয় সে বিষয়ে নজর রাখতে জেলা প্রশাসকদের বলেছি। এ ক্ষেত্রে ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে ভূমি অফিসের দুর্নীতি কমানো যাবে।
তিনি আরও বলেন, দুর্নীতি নির্মূল করার বিষয়ে আমাদের সংবিধানেই বলা আছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আইন হয়েছে, কমিশন হয়েছে। দুর্নীতির ক্ষেত্রে সেটা ডিসি হোক কিংবা এসি (সহকারী ভূমি কমিশনার) হোক, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া যাবে, সেই অভিযোগ যদি অনুসন্ধান যোগ্য হয় আমরা তা করবো।
ডিসি সম্মেলনে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা অংশগ্রহণ করছে। দেশে অনেকগুলো সাংবিধানিক সংস্থা বা কমিশন থাকলেও একমাত্র দুর্নীতি দমন কমিশন ডিসি সম্মেলনে অংশ নিয়েছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে স্বাধীন সংস্থার অংশগ্রহণ বিষয়টি কীভাবে দেখছেন- এমন প্রশ্নের উত্তরে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, এই প্রশ্নে কীভাবে রেসপন্স করবো আমি বুঝতেছি না। সরকারের মন্ত্রীরা এসেছেন, আমরাও এসেছি। আমরা আমাদের কথা বলেছি। আমাদের তো কেউ নিয়ন্ত্রণ করে বলে নাই যে- ‘তুমি এই কথা বইলো’। অন্য কমিশনকে কেন আমন্ত্রণ জানানো হয়নি সেটা আমরা জানি না।
তাহলে কি সরকারি পর্যায়ের দুর্নীতি বেড়ে গেছে এ জন্য কমিশনকে ডাকা হয়েছে- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এটা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বলতে পারে। তারা আমাদের আহ্বান জানিয়েছিল এখানে অংশ নেওয়ার জন্য, আমরা অংশ নিয়েছি। ৬৪ জন জেলা প্রশাসক ও আটজন বিভাগীয় কমিশনার পেয়েছি, আমি আমার বক্তব্য বলেছি। তাদের বলেছি যেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নেওয়া হয়। দুর্নীতির কোনো ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ব্যবস্থা নিতে না পারলে যেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানায়।