নিউজ ডেস্ক: বিভিন্ন সময় বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণ করেছে সরকারের বিদ্যুৎ বিভাগের তিন প্রতিষ্ঠান পিডিবি, ইজিসিবি এবং আরপিসিএল। কিন্তু সেসব জমির অনেকাংশই এখনও কাজে লাগানো হয়নি, দীর্ঘ সময় সেগুলো পড়ে আছে। এবার সেসব জায়গায় সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করতে চায় সরকার। বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সূত্র বলছে, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) প্রতিটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য বিপুল পরিমাণ জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল। এসব জমির অনেকাংশই এখন কোনও কাজে লাগছে না, এমনিতে পড়ে রয়েছে। সঙ্গত কারণেই এই জমিগুলোর বিকল্প ব্যবহারের উপায় খুঁজছে সরকার। একই অবস্থা ইলেক্ট্রিসিটি জেনারেশন কোম্পানি (ইজিসিবি) এবং রুরাল পাওয়ার কোম্পানিরও (আরপিসিএল)। সরকারের এই দুই প্রতিষ্ঠানের হাতেও অব্যবহৃত পড়ে রয়েছে বিপুল পরিমাণ জমি।
বিদ্যুৎ বিভাগের সূত্র জানিয়েছে, আগামী মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) এ বিষয়ে একটি জরুরি বৈঠক আহ্বান করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ। যাতে এসব জমি কীভাবে ব্যবহার করা যায়, সে সম্পর্কে একটি উপায় নির্ধারণ করার জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে বিদ্যুৎ বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, পিডিবি মহেশখালীতে বিদ্যুৎ হাব গড়ে তোলার জন্য কয়েক হাজার একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। সেখানে কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে। বাকি সব জমিই পড়ে রয়েছে। আবার চালু বিদ্যুৎকেন্দ্রের মধ্যেও অনেক জমি রয়েছে, যেগুলোকে কাজে লাগানো সম্ভব।
ইজিসিবি এবং আরপিসিএলও সোলার বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণ করেছিল। কিন্তু সেগুলোও বিনিয়োগ জটিলতার কারণে কেন্দ্র নির্মাণ করতে পারছে না। ফলে এসব বিষয়গুলোও আলোচনা হবে। এসব জমি কাজে লাগিয়ে কীভাবে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানো যায় সেই পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
সরকার মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের অন্তত ১০ ভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে উৎপাদন করতে চায়। কিন্তু এখন পর্যন্ত এর পরিমাণ শূন্য দশমিক ৮৪ শতাংশ। নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সবচাইতে বড় সুবিধা হচ্ছে এজন্য কোনও জ্বালানি সরবরাহর প্রয়োজন হয় না। ফলে বিদেশ থেকে ডলার খরচ করে জ্বালানি কিনতে হয় না। সম্প্রতি ডলার সংকটের মধ্যে সরকার নবায়নযোগ্য জ্বালানির ওপর সবচেয়ে বেশি জোর দিয়েছে।
বিদ্যুৎ জ্বালানি খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, আমরা নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে ৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা করছি। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। আরও অন্তত দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে।