নিউজ ডেস্ক: মেট্রোরেলের আরও একটি স্টেশন যাত্রীদের চলাচলের জন্যে পুরোপুরি প্রস্তুত হয়েছে। শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে ‘উত্তরা সেন্টার’ স্টেশন যাত্রী চলাচলের জন্যে উন্মুক্ত হচ্ছে।
এ নিয়ে উত্তরা (দিয়াবাড়ী), আগারগাঁও ও পল্লবী স্টেশনের পরে মেট্রোরেলের চতুর্থ স্টেশন হিসেবে খুলছে এ মেট্রো স্টেশনটি।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এন সিদ্দিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শুক্রবার(১৭ ফেব্রুয়ারি) উত্তরা সেন্টার স্টেশনে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, যাত্রী চলাচলের জন্যে উন্মুক্ত করতে শেষ প্রস্তুতি হিসেবে স্টেশন পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ চলছে।
ডিএমটিসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) আমাদের অপারেশন টিম উত্তরা সেন্টার স্টেশন খুলে দিবে। বর্তমানে পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা আগেই বলেছিলাম পর্যায়ক্রমে মেট্রোরেলের স্টেশনগুলো খুলে দেওয়া হবে। প্রথমে দুটি স্টেশন খুলে দেওয়ার মাধ্যমে মেট্রেরেল চলাচল শুরু হয়। মানুষ মেট্রোরেল ব্যবহারে এরই মধ্যে অভ্যস্ত হয়ে গেছে।
উত্তরা সেন্টার স্টেশনের কর্মরত শ্রমিক রহিম উদ্দিন বলেন, আমরা শেষ মুহূর্তে ধোয়া-মোছার কাজ করছি। কাল উদ্বোধন হবে এ স্টেশনটি।
উত্তরার এ অঞ্চলের বাসিন্দারাও খুশি মেট্রোরেল চালু করায়। ফলে স্বাচ্ছন্দ্যে ও নিরাপদে মিরপুর, আগারগাও ও ফার্মগেট এলাকায় অফিসসহ দৈনন্দিন কাজে ১২ মিনিটের মধ্যে যেতে পারবেন এ এলাকার বাসিন্দারা।
শফিকুল ইসলাম নামে এক বেসরকারি চাকরিজীবী বলেন, ভাড়া কম হওয়ায় এ এলাকায় থাকি। মিরপুরের শ্যাওড়াপাড়ায় আমার অফিস। খুব অল্প সময়ের মধ্যে যেতে পারবো।
অন্যদিকে জনবহুল এলাকা মিরপুর-১০ স্টেশন আগামী ১ মার্চ থেকে খুলে দেওয়া হবে পঞ্চম স্টেশন হিসেবে।
প্রসঙ্গত, ঢাকার উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ২১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের প্রথম মেট্রোরেল যেটা এমআরটি লাইন-৬ নামে পরিচিত। এ প্রকল্প সরকার হাতে নেয় ২০১২ সালে। গত ২৮ ডিসেম্বর এই পথের প্রথমাংশ উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মেট্রোরেলের দ্বিতীয় অংশ আগারগাঁও থেকে মতিঝিল ২০২৩ সালের শেষ দিকে চালুর পরিকল্পনা রয়েছে কর্তৃপক্ষের। আর মতিঝিল থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত বর্ধিতাংশ চালু হতে পারে ২০২৫ সালে।
এমআরটি লাইন-৬ প্রকল্পের মূল ব্যয় ছিল ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা। পরে মতিঝিল থেকে কমলাপুর বাড়তি অংশ যোগ হওয়ায় ব্যয় বাড়ে ১১ হাজার ৪৯৬ কোটি ৯২ লাখ টাকা। সর্বমোট ব্যয় দাঁড়ায় ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাপানের উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান জাইকার অর্থায়ন ১৯ হাজার ৭১৯ কোটি টাকা ও সরকারি অর্থায়ন ১৩ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা।