নিউজ ডেস্ক: পর পর ঢাকা ও চট্টগ্রামে কয়েকটি বিস্ফোরণের ঘটনা প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গত কয়েক দিন ধরে শুধু বিস্ফোরণ হচ্ছে। এটা আমাদের দুর্ভাগ্য। এতে অনেক মানুষ নিহত হয়েছেন। পাশাপাশি প্রায় দুই শতাধিক মানুষ মারাত্বকভাবে আহত হয়েছেন। সরকারের সংশ্লিষ্ট মহল এই ব্যর্থতার দায় এড়াতে পারবে না। বর্তমানে ঢাকা-চট্টগ্রাম বিস্ফোরণের নগরীতে পরিণত হয়েছে।
বুধবার (৮ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত শোভাযাত্রা শুরুর আগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল এ শোভাযাত্রার আয়োজন করে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গ্যাস জমে থেকে সায়েন্স ল্যাবে বিস্ফোরণে তিন জন লোক মারা গেলেন। আবার গতকাল রাজধানীর ছিদ্দিকবাজারে একটি বাণিজ্যিক ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ১৮ জন মানুষ মারা গেছেন। এর আগে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ হলো, সেখানে সাত জন লোক মারা গেলেন। কেনো একের পর এক এসব বিষ্ফোরণ হচ্ছে? সরকারের যে ডিপার্টমেন্টগুলো এসব দেখার কথা, নজরদারিতে রাখার কথা, তারা কোনো কাজ করে না, সব দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত।’
তিনি বলেন, ‘বিস্ফোরণ প্রতিরোধ করার, আগুনকে প্রতিরোধ করার কোনো ব্যবস্থা না থাকার কারণে আজকে এভাবে ভয়াবহ মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে। ঢাকা সবচেয়ে বিপজ্জনক একটি নগরে পরিণত হয়েছে। শুধু আগুন নয়, ঢাকার বাতাসও পৃথিবীর সবচেয়ে দূষিত।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে আওয়ামী লীগের আমলে নারীরা যেভাবে নির্যাতিত হচ্ছেন, অতীতে কখনও এ রকম নির্যাতন হয়েছে বলে আমার জানা নেই। তাই দেশের সব নারীকে আরও বেশি সোচ্চার হতে হবে। আরও বেশি সংগঠিত হতে হবে। এ দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী হচ্ছেন খালেদা জিয়া। আমি যেখানে যাচ্ছি, বয়স্ক মহিলারা জিজ্ঞেস করেন খালেদা জিয়া কেমন আছেন। সেই নারীর প্রতি কী পরিমাণ অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে, সেটা সবাই জানেন।’
নারী নেতৃদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তাদের আরও বেশি সংগঠক হতে হবে এবং আন্দোলনের মাধ্যমে এ জগদ্দল পাথরকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
নারীদের ওপর অত্যাচার হলেও কেউ প্রতিবাদ করে না জানিয়ে ফখরুল বলেন, ‘বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের ওপর যেসব অত্যাচার করা হচ্ছে, এগুলো কারা করছে? সরকারি দলের লোকেরাই করছে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন শিক্ষার্থীর ওপর নির্যাতন করা হয়, তখন নারীদের একটি সংগঠনও প্রতিবাদ করে না। আপনাদের এগিয়ে আসতে হবে, প্রতিবাদ করতে হবে। প্রতিবাদ না করলে অধিকার আদায় করা যাবে না। আপনারা নিজেদের অধিকারের জন্য রাস্তায় নামেন এবং আপনারা সফল হন—এই প্রত্যাশা করছি।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহম্মেদ, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক নায়াবা ইউসুফ, দক্ষিণের আহ্বায়ক রুমা আক্তার প্রমুখ।