আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সোনার বাজারে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ভোক্তা ভারত। দেশটিতে সারা বছর সোনার চাহিদা থাকলেও এপ্রিল মাসে তা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। কিন্তু সম্প্রতি ভারতে সোনার দাম সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছানোয় মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছেন ক্রেতারা। সোনার বাজারে কী ঘটে তা দেখার জন্য অপেক্ষা করছেন তারা। খবর ব্লুমবার্গের।
ভারতে গত সপ্তাহে প্রতি ১০ গ্রাম সোনার দাম বেড়ে ৬০ হাজার ৪৫৫ রুপি (৭৭ হাজার ১১৫ টাকা প্রায়) ছুঁয়েছে, যা সর্বকালের সর্বোচ্চ। গত এক বছরে দেশটিতে সোনার দাম বেড়েছে প্রায় ১৫ শতাংশ। এজন্য বিশ্বব্যাপী চাহিদা বৃদ্ধি এবং ভারতীয় রুপির দরপতনকে দায়ী করা হচ্ছে।
ভারত তার চাহিদার প্রায় সবটুকু সোনাই আমদানির মাধ্যমে পূরণ করে। তাদের সোনা আমদানির সবচেয়ে বড় উৎস সুইজারল্যান্ড ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।
ভারতে ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের আঞ্চলিক প্রধান পি আর সোমাসুন্দরাম বলেন, মানুষের মধ্যে অপেক্ষা করা এবং দেখার প্রবণতা রয়েছে। তারা নিশ্চিত হতে চায়, এটি (সোনার মূল্যবৃদ্ধি) ক্ষণস্থায়ী নয় এবং দাম বাড়তে থাকবে।
ব্লুমবার্গ টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, দাম যদি বর্তমান স্তরের কাছাকাছি স্থিতিশীল থাকে, তবে এপ্রিল মাসে অক্ষয় তৃতীয়ার দিন কেনাকাটার চাহিদা ফিরতে পারে। তবে ক্রমাগত অস্থিরতা মানুষকে (সোনা কেনা থেকে) দূরে থাকতে বাধ্য করবে।
এ বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্রেতারা সম্ভবত বর্ষাকাল এবং চতুর্থ প্রান্তিকের জন্য অপেক্ষা করবে, যখন দীপাবলির মতো বড় উৎসব থাকে। দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগকারীদের জন্য শেয়ারবাজার এখন কিছুটা কম আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। ফলে সোনার দাম বাড়তে থাকলে চাহিদা ফিরতে দেখা যাবে।
তবে ভারতের স্থানীয় বাজারে রেকর্ড দামের পাশাপাশি উচ্চ আমদানি করের কারণে সোনা চোরাচালানি বাড়তে পারে। সোমাসুন্দরামের কথায়, আমরা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি, অর্থবাজারে ছাড় চলছে। তাই কোভিডের পরিপ্রেক্ষিতে (চোরাচালানি) কর্মকাণ্ড ব্যাপকভাবে বেড়েছে।