নিউজ ডেস্ক: ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় চলছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জেনারেটর রুম, অক্সিজেন প্লান্ট, সাব স্টেশনের মতো স্পর্শকাতর স্থাপনাগুলো। যেকোনো মুহূর্তেই ঘটতে পারে বড় ধরনের বিস্ফোরণ। এমনকি আগুনের ঘটনায় বিদুৎ লাইন বন্ধ হলে বিকল্প উপায়ে পানির পাম্প চালুর ব্যবস্থাও বিকল।
বুধবার (২৯ মার্চ) জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই) ও ফায়ার সার্ভিসের যৌথ পরিদর্শনে এসব অব্যবস্থাপনা উঠে আসে।
সরেজমিনে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে নিয়মিত পরিদর্শনের অংশ হিসেবে ঢাকা মেডিকেলে যান এনএসআই ও ফায়ার ব্রিগেড টিমের সদস্যরা। শুরুতেই রান্না ঘরে গিয়ে দেখা যায়, তপ্ত আবহাওয়ায় চলছে রান্নার কাজ। ওপরে ধসে পড়া ছাদ, বদ্ধ জায়গা, নেই আলাদা নিরাপত্তা। সক্ষমতার চেয়ে ৫ গুণ বেশি চাপ বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
সেখান থেকে পাশেই স্পর্শকাতর জেনারেটর রুম ও লাইফ অক্সিজেন প্লান্ট। আর রান্নার কাজে ইলেক্ট্রিক হিটার, সিগারেট, টিভি, জেনারেটরে ব্যবহৃত তেল ও উচ্ছিষ্টে ভরা এসব স্থাপনা। যা বিপজ্জনক বলে জানায় ফায়ার ব্রিগেড।
একইভাবে বিদ্যুতের সাব স্টেশন ও লোকজনের থাকার জায়গা একই ফ্লোরে দেখা মেলে।
পার্কিংয়ের গ্রাউন্ডে থাকা মেশিনারিজের ডাম্পিংয়ে পরিত্যক্ত জেনারেটর রুমে বিদুৎ সংযোগ থাকা ও পার্কিংয়ের আউট গেট নষ্ট চেয়ার টেবিল দিয়ে আটকানো। ইন-আউট একই গেট হওয়ায় কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে হতাহত বেশি হবে বলে জানায় পরিদর্শক টিম।
ফায়ার বিগ্রেডের পরিদর্শক পলাশ চন্দ্র জানান, যেসব অসঙ্গতি হাসপাতালে দেখা গেছে তা কোনোভাবে নিরাপদ নয়। সব কিছুই ঝুঁকিপূর্ণ।
হাসপাতালের এসব বিষয় ঢাকা মেডিকেলের পরিচালক না থাকায় সহকারী পরিচালক ড. মো. জিল্লুর রহমানকে লিখিতভাবে অবগত করেন যৌথ পরিদর্শক টিম।
ঢাকা মেডিকেলের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ও পরিদর্শন করে এনএসআই ও ফায়ার ব্রিগেডের যৌথ টিম।