আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরাকের উত্তর কুর্দিস্থানের সুলেইমানিয়াহ বিমানবন্দরে তুরস্কের সেনারা হামলা চালিয়েছে— এমন অভিযোগ করেছে ইরাক সরকার। আর এ ঘটনায় তুরস্ককে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।
শনিবার (৮ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে ইরাক সরকার কড়া বার্তায় বলেছে, ইরাকের মাটিতে তুরস্ককে অবশ্যই যুদ্ধবিগ্রহ বন্ধ করতে হবে। এতে আরও বলা হয়েছে, ‘তুরস্কের ক্ষতি করতে পারে এমন বাহিনী ইরাকের মাটিতে রয়েছে এমন অজুহাতে সাধারণ মানুষকে ভয়-ভীতি প্রদর্শনের’ কোনো অধিকার তুরস্কের নেই।
‘এ পরিস্থিতিতে আমরা তুরস্কের সরকারের প্রতি দায়-দায়িত্ব নেওয়া এবং আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
কুর্দিস আঞ্চলিক সরকারের (কেআরজি) গণমাধ্যম সম্পর্ক বিষয়ক প্রধান লক গাফুরি জানিয়েছেন, গত শুক্রবার (৭ এপ্রিল) সুলেইমানিয়াহ বিমানবন্দরে একটি ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটে। তবে এতে বিমানবন্দরের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি এবং বিমান চলাচলেও কোনো বিঘ্ন ঘটেনি।
তবে তুরস্কের একজন কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, শুক্রবার কুর্দিস্থানে তাদের সেনারা কোনো ধরনের অভিযান চালায়নি।
যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্স (এসডিএফ) শনিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, হামলার সময় এসডিএফ প্রধান মজলুম আবদি বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন। তবে তার কোনো ক্ষতি হয়নি।
মজলুম আবদি এ হামলার নিন্দা জানিয়েছেন, তবে তাকে লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়েছে, এমন কিছুও বলেননি তিনি।
যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, একটি গাড়ি বহর লক্ষ্য করে মূলত হামলাটি চালানো হয়েছিল। ওই বহরটিতে মার্কিন বাহিনীর সদস্যরা ছিলেন।
সিরিয়ায় কুর্দি নিয়ন্ত্রিত সশস্ত্র দল এসডিএফকে জঙ্গি-সন্ত্রাসী ও নিজেদের জন্য হুমকি হিসেবে দেখে তুরস্ক। তবে এ দলটিই আবার যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র। সিরিয়া থেকে সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটকে সরিয়ে দিতে বড় ভূমিকা রেখেছে এসডিএফ।
সূত্র: রয়টার্স