নিউজ ডেস্ক: চট্টগ্রামে গ্যাস সংকটে সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশন বন্ধ। ফলে বন্ধ রয়েছে বেশিরভাগ সিএনজিচালিত অটোরিকশা। সিএনজিচালিত প্রাইভেট গাড়িরও একই দশা। ফলে চট্টগ্রাম মহানগরীর রাস্তায় কমেছে গাড়ির সংখ্যা। এদিকে, বিকল্প জ্বালানি হিসেবে এলপিজি আর অকটেনে ঝুঁকছেন চালকরা।
যদিও সোমবারের মধ্যে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক করার আশা করছে চট্টগ্রামে পাইপলাইনে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল)।
ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে মহেশখালীর এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গত তিন দিন ধরে চট্টগ্রামে শুরু হয়েছে চরম গ্যাস সংকট। বিশেষ করে সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশনগুলো বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েন সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকরা।
অন্যদিকে, গ্যাসের অভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে সিএনজিচালিত বেশিরভাগ গাড়ি। এতে বেশি ভাড়ায় গন্তব্যে যেতে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের। তবে চালকদের একটি অংশ অকটেন ও এলপিজি দিয়ে রাস্তায় গাড়ি চলাচল সচল রেখেছে।
সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নগরীর বেশ কয়েক স্থানে সরেজমিনে দেখা গেছে, রাস্তায় সিএনজিচালিত গাড়ি হাতেগোনা। টাইগারপাস মোড়ের রেইনবো সিএনজি স্টেশন এবং ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন বন্ধ। তবে ইন্ট্রাকোতে এলপিজি সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। এই স্টেশনে এলপিজি নেওয়ার জন্য ভিড় জমান অটোরিকশা চালকরা।
দামপাড়া এলাকা সিএমপি ফুয়েল স্টেশনে পৌনে ১২টায় গিয়ে দেখা যায়, বেশ কয়েকটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক অকটেন নিচ্ছেন। সিএনজি চালক সুরুজ মিয়া বলেন, গত দুইদিন গ্যাসের (সিএনজি) জন্য গাড়ি বন্ধ ছিল। এখন বাধ্য হয়ে বের হয়েছি। দুই লিটার অকটেন নিয়েছি ২৬০ টাকায়।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পাঁচলাইশ খান ব্রাদার্স সিএনজি প্রা. লিমিটেডের রিফুয়েলিং স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, তাদের সিএনজি সরবরাহ বন্ধ। তবে লাইন ধরে এলপিজি নিচ্ছেন সিএনজিচালিত অটোরিকশাগুলোর চালকরা। অটোরিকশা চালক মো. আল আমিন বলেন, গত দুইদিন ধরে সিএনজি পাচ্ছি না বলে আমরা বাধ্য হয়ে এলপিজি দিয়ে চালাচ্ছি।
রিফুয়েলিং স্টেশনটির সেলসম্যান তৌহিদুল ইসলাম বলেন, অটোরিকশাগুলো তেমন একটা এলপিজি নেয় না। বেশিরভাগ সিএনজিচালিত। এখন সিএনজি বন্ধ থাকায় গত দুইদিন ধরে এলপিজির চাহিদা হঠাৎ করে বেড়ে গেছে।
কেজিডিসিএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, হয়তো আজকের (সোমবার) মধ্যে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে আসতে পারে। এতে গৃহস্থালি, বাণিজ্যিক এবং সিএনজি স্টেশনগুলোকে গ্যাস সরবরাহ করা হবে। তবে বিদ্যুৎ ও সার কারখানায় গ্যাস সরবরাহ করতে একটু সময় লাগতে পারে।