নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের ৬০% মানবাধিকার কর্মী মানবাধিকার রক্ষার কাজে বিভিন্ন হুমকির সম্মুখীন হন এবং তাদের কাজের ওপর বিধিনিষেধ দেয়া হয় এবং ব্যক্তিগতভাবে তারা শারীরিক ক্ষতির সম্মুখীন হন। সেন্টার সেন্টার ফর গভন্যর্ান্স স্টাডিজ (সিজিএস) —এর চার মাস ব্যাপী “চ্যালেঞ্জেস টু হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডারস ইন বাংলাদেশ” শীর্ষক গবেষণা থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। শনিবার ঢাকার একটি হোটেলে গবেষণার প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্যে সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান দেশের মানবাধিকার কর্মীদের জন্য আরও সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতের উপর জোর দেন। তিনি রাষ্ট্র ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি তুলে ধরে এর পরিত্রাণের জন্য আহ্বান জানান।
বাংলাদেশে মানবাধিকার কর্মীদের অবস্থার বিষয়টি তুলে ধরে ড. আলী রীয়াজ বলেন, “বাংলাদেশ জাতিসংঘের ‘মানবাধিকারকর্মী—সংক্রান্ত ঘোষণাপত্র’ কে স্বীকৃতি জানালেও মানবাধিকার কর্মীদের অধিকার রক্ষায় কোনো আইন প্রণয়ন করেনি”। গবেষণা থেকে প্রাপ্ত ফলাফল তুলে ধরে তিনি জানান, “দুঃখজনকভাবে জরিপে অংশগ্রহণকারী ৪৬% মানবাধিকার কর্মীরা দেশের বর্তমান মানবাধিকার পরিস্থিতিকে গুরুতর বলে বর্ণনা করেন। এছাড়াও, ৪২% কর্মী জানান সরকারী আইন প্রয়োগকারী প্রতিষ্ঠান থেকে তারা বেশি বাধার সম্মুখীন হন।
৬০% কর্মীরা মানবাধিকার রক্ষার কাজে বিভিন্ন হুমকির সম্মুখীন হন এবং তাদের কাজের ওপর বিধিনিষেধ দেয়া হয় এবং ব্যক্তিগতভাবে তারা শারীরিক ক্ষতির সম্মুখীন হন”।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ গবেষণা প্রতিবেদন ও মুখ্য গবেষককে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং এ ধরনের গবেষণার মাধ্যমে মানবাধিকারের বিভিন্ন দিক উন্মোচন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এছাড়াও, তিনি স্পষ্ট করে জানান, “জাতীয় মানবধিকার কমিশন সরকারি কোনও সংস্থা নয়, এটি রাষ্টীয় সংস্থা”। তিনি আরও যোগ করেন যে, অনেকের মধ্যে এ বিষয়ে ভুল ধারণা থাকায় তারা জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ভালো কাজের সংবাদ প্রকাশ করে না। রাষ্ট্রীয় বাহিনীর বিচারবহির্ভূত কর্মকান্ড ও বিদেশী নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তিনি জানান, যারা অপরাধী তারা যেই হোক, অপরাধী। তবে এর সাথে ভূ—রাজনীতির সম্পর্ক আছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।