নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশে গত একমাসের বেশি সময় ধরে জন্ম নিবন্ধন সনদ করতে গিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে মানুষ। বিশেষ করে সরকারি একটি ওয়েবসাইটের তথ্য উন্মুক্ত থাকার খবর প্রকাশের পর এই জটিলতা আরও বেড়েছে।
যদিও জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধকের কার্যালয় বলছে, সার্ভার নিয়ে কোন জটিলতা নেই, বরং স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলো ইচ্ছা করে অথবা অদক্ষতার কারণে সেবা দিতে পারছে না।
অন্যদিকে রাজস্ব ভাগাভাগি নিয়ে জটিলতায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের জন্ম নিবন্ধন বন্ধ রয়েছে প্রায় একমাস ধরে।
কিন্তু এর ফলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন ে অনেক সাধারণ মানুষ। কারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি, পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয় পত্র, ভিসা আবেদনসহ ১৯টি নাগরিক সেবার ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন সনদ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, স্থানীয় সরকার আইনের নির্দেশিকা অনুযায়ী, এই দপ্তর থেকে যেসব সেবা দেয়া হবে, সেজন্য যে কর বা ফি নেয়া হবে, সেটা স্থানীয় সরকারের নিজস্ব আয় হওয়ার কথা। কিন্তু জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের ক্ষেত্রে ব্যয় এসব দপ্তর করলেও কোন আয় পায় না।
“একটা সার্টিফিকেট প্রিন্ট করতে গেলে আমাদের কমপক্ষে ৪০ টাকা লাগে। সেখানে জনবল, যন্ত্রপাতি—সেসব কিছুও আমাদের দিতে হয়। কিন্তু সেখানে যে ফি নেয়া হয়, সেটা পুরোপুরি সরকারি তহবিলে চলে যায়। এটা নিয়ে আমাদের মাননীয় মেয়র মহোদয় মন্ত্রী মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। সেটা নিয়ে আলোচনা চলছে। শীঘ্রই হয়তো সমাধান হয়ে যাবে।”
নিবন্ধনের দায়িত্বে থাকা একজন সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেছেন, গত এক সপ্তাহ ধরে কোন কাজ করা যায়নি। কারণ সার্ভারেই ঢোকা যায়নি। তবে বৃহস্পতিবার বিকালের দিকে কিছু ফাইলের প্রিন্ট দেয়া গেছে।
এর আগেও বেশিরভাগ সময় দিনের বেলায় সার্ভারে প্রবেশ করা যায় না। ফলে অনেককে নিবন্ধন সনদ দেয়ার তারিখ দেয়া হলেও নির্ধারিত সময়ে সরবরাহ করা যায় না।