নিউজ ডেস্ক: বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে সারাবিশ্বেই ফসল উৎপাদন প্রক্রিয়া বিঘ্নিত হচ্ছে। এছাড়াও অন্যতম শীর্ষ ফসল উৎপাদনকারী দুই দেশ ইউক্রেন এবং রাশিয়া যুদ্ধে লিপ্ত থাকায় খাদ্য সরবরাহের পরিমাণ কমে আসছে। এমন অবস্থায় কয়েকটি দেশ খাদ্য রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করায় হুমকির মুখে পড়েছে সারাবিশ্বের খাদ্য ব্যবস্থা।
বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে বন্ধ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুরু করে চীনের বেশ কিছু খামার। ফলে ফসল, ফল এবং দুগ্ধজাত খাবারের উৎপাদন চাহিদার তুলনায় কমে আসছে।
লন্ডনের চ্যাথাম হাউসের খাদ্য নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ টিম বেন্টন বলেছে, যদিও মুদ্রাস্ফীতি কমছে, তার মানে এই নয় যে দাম কমছে। এর মানে দাম ধীরে ধীরে আরও বাড়বে। এবছর বছর চরম তাপমাত্রা এশিয়া, ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকার বিশাল অংশকে গ্রাস করেছে। বছরটি কৃষকদের জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং। দীর্ঘস্থায়ী খরা, ভারী বৃষ্টি এবং বন্যাসহ বৈরি তাপমাত্রার সাথে তাদের লড়াই করতে হচ্ছে।
রাশিয়া—ইউক্রেন যুদ্ধ:
অন্যতম শীর্ষ ফসল উৎপাদনকারী দুই দেশ ইউক্রেন এবং রাশিয়া যুদ্ধে লিপ্ত থাকায় খাদ্য সরবরাহের পরিমাণ কমে আসছে। এই অবস্থায় ভয়ানক আকারে হুমকির মুখে পড়েছে খাদ্য শিল্প। ইউক্রেন বিশ্বের চতুর্থ খাদ্যশস্য রপ্তানিকারক দেশ। বিশ্বের ৪২ ভাগ সূর্যমুখী তেল উৎপাদন হয় এই দেশটিতে। এছাড়া মোট ভুট্টার ১৬ ভাগ ও ৯ ভাগ গম তারাই উৎপাদন করে।
রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা;
এই সপ্তাহে, অন্যতম শীর্ষ চাল রপ্তানিকারক দেশ ভারত তাদের অভ্যন্তরীণ দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাল রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। যা বিশ্বের প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যার একটি প্রধান খাদ্য। এদিকে কৃষ্ণ সাগরের ওপর দিয়ে ইউক্রেনের শস্য স্থানান্তর সংক্রান্ত একটি চুক্তি প্রত্যাহার করেছে রাশিয়া।
পরিবহন সমস্যা:
যদিও এই বছরের শুরুতে গরম ও শুষ্ক অবস্থার পরে বৃষ্টিপাতের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে, তবে আগামী সপ্তাহে এবং আগস্টের শুরুর দিকে মধ্য—পশ্চিমে আবহাওয়া আবার পাল্টে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পরিবহন সমস্যা খাদ্য নিরাপত্তা উদ্বেগকে আরও জটিল করে তুলছে। মিসিসিপি এবং ওহিও নদীর পানির স্তর টানা দ্বিতীয় বছরের জন্য কমে যাওয়ায় গুরুত্বপূর্ণ মালবাহী রুটে শিপিং সমস্যা দেখা দিয়েছে।