নিজস্ব প্রতিবেদক: আগের মতোই বাস পুড়িয়ে অগ্নিসন্ত্রাস করছে বিএনপি, যার প্রমাণ মিলেছে গতকাল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার সকালে পঞ্চম পর্যায়ে নির্মিত আরও ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধনে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ইসলামের নামে অনেকে ক্ষমতায় এলেও এর প্রচার—প্রসারে কাজ করেনি। ইসলামের প্রতি কোনো আন্তরিকতা নেই বিএনপির। যা আছে, সেটি লোক দেখানো।
সরকারপ্রধান বলেন, দেশে সন্ত্রাস বাদ সহ্য করা হবে না। মুষ্টিমেয় কিছু মানুষের জঙ্গি কার্যক্রমে ইসলামের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। তাই জুমার খুতবায় সন্ত্রাস ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সবাইকে সচেতন করার তাগিদ দেন।
তিনি বলেন, আমি যখন বায়তুল মোকাররম মসজিদকে উন্নত করার জন্য প্রকল্প নিলাম, কাজ শুরু করলাম, সেখানে আমাদের মহিলাদের নামাজের সুব্যবস্থা, পুরুষদের নামাজের সুব্যবস্থা, অজুখানা থেকে শুরু করে গাড়ি পার্কিংয়ের সুব্যবস্থা, মিনার তৈরি করে দিচ্ছি, তখন ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে পারেনি, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে এই মসজিদের কাজ বন্ধ করে দেয়। আমরা যতটুকু কাজ করেছিলাম ততটুকু পড়ে থাকে। এটি অত্যন্ত দুঃখদায়ক একটা ঘটনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আট বছর পর যখন আমরা ক্ষমতায় এসে বায়তুল মোকাররম মসজিদকে আবার পুনর্নির্মাণ করে উদ্বোধন করি, এখানে আমাদেরকে সৌদি সরকারও সহায়তা করে। শুধু বায়তুল মোকাররম মসজিদ না, ক্যান্টনমেন্টে একটি বড় মসজিদের কাজ শুরু করছিলাম, তখন খালেদা জিয়ার বক্তব্য ছিল এত বড় মসজিদে কে যাবে নামাজ পড়তে? মিনারগুলো তৈরি করতে দেয়নি। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে মসজিদটা নির্মাণ করি। ইসলাম ধর্মের নামে রাজনীতি করে কিন্তু ধর্মীয় কাজে তাদের কোনো আন্তরিকতা ছিল না। যা ছিল শুধু দেখানো।
দেশের প্রতিটি জেলা উপজেলায় মোট ৫৬৪টি মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এরইমধ্যে চার দফায় চালু হয়েছে, ২শটি। আজকের ৫০টি মিলিয়ে তা বেড়ে দাড়াবে, আড়াইশোটিতে। চারতলার মসজিদে একসঙ্গে ১২শ’ ও তিনতলা মসজিদে ৯শ’ মুসল্লির নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।