নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকায় বিগত বড় দুটি কর্মসূচি পরিকল্পনা অনুযায়ী ‘যথাযথভাবে’ বাস্তবায়ন না হওয়ায় সংগঠনের সব স্তরে আবারো কঠোর বার্তা দিয়েছে বিএনপির হাইকমান্ড। আগামী দিনের ‘অল আউট’ আন্দোলনে আর কোনো ব্যর্থতা কিংবা সমন্বয়হীনতা দেখতে চায় না দলটি। এ ক্ষেত্রে আবেগাশ্রয়ী না হয়ে বাস্তবতা বুঝে পরবর্তী কর্মসূচি নিরূপণে জোর দেয়া হচ্ছে।
দলটির মূল্যায়ন, ঢাকায় বিগত ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের আগের দুই—তিন দিনের ঘটনাগুলো তৈরি হওয়ার পেছনে মাঠ পর্যায়ের নেতা—কর্মীদের মধ্যে অতি আবেগের প্রতিফলন দেখা গেছে, যা দায়িত্বশীলরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। একইভাবে গত ২৯ জুলাই ঢাকার প্রবেশমুখে অবস্থান কর্মসূচিতেও সমন্বয়হীনতার ছাপ ছিল। নেতা—কর্মীদের সর্বাত্মক উপস্থিতি নিশ্চিত করা যায়নি। যদিও অবস্থান কর্মসূচিতে শীর্ষ নেতাদের ওপর পুলিশের হামলা হওয়া সাংগঠনিক দুর্বলতা ব্যাপকভাবে ফুটে উঠেনি বলে দলটির স্থায়ী কমিটির নেতারা গত সোমবার রাতের বৈঠকে অভিমত ব্যক্ত করেন। তারা বলেন, দেশী—বিদেশী গণমাধ্যমসহ দেশের মানুষের কাছে গয়েশ্বর রায়ের ওপর হামলার ঘটনাটি ফোকাস হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে কার্যত বিএনপির সাংগঠনিক দুর্বলতা ফোকাস হয়নি।
বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা জানান, সরকারের পতনের এক দফা দাবিতে শুধু রাজধানীতে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। রাজধানীর বাইরে অতিবৃষ্টিতে পানিবদ্ধতায় জনজীবন বিপর্যস্ত হওয়া এবং দেশের কোথাও কোথাও বন্যা হওয়াতে ঢাকার বাইরে কর্মসূচি রাখা হয়নি।
গতকাল মঙ্গলবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এক দফার ভিত্তিতে যুগপৎ আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি শিগগিরই ঘোষণা করা হবে।